যখন বিশ্ব অজয় দেবগণের রূপ নিয়ে হাসাহাসি করেছিল, অমিতাভের ভরসায় হলেন তারকা

যখন বিশ্ব অজয় দেবগণের রূপ নিয়ে হাসাহাসি করেছিল, অমিতাভের ভরসায় হলেন তারকা

বলিউডের মহানায়ক অমিতাভ বচ্চন কেবল অভিনয়ের জন্যই নয়, প্রতিভা শনাক্ত করার দক্ষতার জন্যও বিখ্যাত। তিনি যখন অজয় দেবগণের প্রতিভায় ভরসা রেখে তাকে ‘ডার্ক হর্স’ বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তখন সেই কথা আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। অজয় দেবগণ, যিনি আজ হিন্দি সিনেমার শীর্ষস্থানীয় অভিনেতাদের একজন, একসময় তাঁর চেহারা ও গায়ের রঙ নিয়ে নিন্দার শিকার হয়েছিলেন। “অজয়ের প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে সাহায্য করেছে,” বলেছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষক তপন সেনগুপ্ত।

১৯৯১ সালে অজয় তাঁর প্রথম ছবি ‘ফুল ও কাঁটে’ দিয়ে বলিউডে পা রাখেন। তাঁর পিতা, প্রখ্যাত স্টান্ট ডিরেক্টর বীরু দেবগণ, এই ছবির স্টান্ট পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু অজয়ের ডেবিউর আগে তাঁর সাঁওতালা গায়ের রঙ ও চেহারা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। নির্মাতাদের উদ্দেশে কেউ কেউ বলেছিলেন, “এমন ছেলেকে নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন?” এই সমালোচনার মাঝেই অমিতাভ বচ্চন অজয়ের প্রতিভায় আস্থা রেখে বলেছিলেন, “এই ছেলে একদিন বড় নাম করবে।” বচ্চনের এই দূরদর্শিতা অজয়ের ক্যারিয়ারের প্রথম দিনগুলোতে তাঁর জন্য বড় প্রেরণা হয়ে ওঠে।

‘ফুল ও কাঁটে’ মুক্তির পর অজয় রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন। ছবিটি বক্স অফিসে হিট হয়, এবং অজয় তাঁর সমালোচকদের মুখে চুনকালি মেখে দেন। ৯০-এর দশকে তিনি ‘জিগার’, ‘দিলওয়ালে’, ‘ইশক’ এবং ‘প্যায়ার তো হোতা হ্যায়’ জাতীয় ছবির মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। “অজয়ের বহুমুখী অভিনয় তাকে সাধারণ থেকে অসাধারণ করে তুলেছে,” বলেছেন চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ রঞ্জন দাস। তাঁর অ্যাকশন, রোমান্স এবং নাটকীয় ভূমিকার মিশ্রণ তাঁকে আজ বলিউডের সুপারস্টারদের তালিকায় শীর্ষে নিয়ে গেছে। অমিতাভের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে, এবং অজয়ের সাফল্য তরুণ প্রতিভাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *