বেঙ্গালুরুর ইস্ট পয়েন্ট কলেজে ২৫-২৬ এপ্রিলের কনসার্টে সোনু নিগম কয়েকজন দর্শকের কন্নড় গান গাওয়ার দাবির জন্য তিরস্কার করেছিলেন। তিনি জানান, দর্শকদের সুর “অভদ্র ও হুমকিস্বরূপ” ছিল। এই ঘটনায় তিনি পহলগামের আতঙ্কী হামলার উল্লেখ করে বলেছিলেন, “এই ধরনের মনোভাবই পহলগামে যা ঘটেছিল, তার কারণ।” এই মন্তব্যের জেরে কন্নড় সমর্থক সংগঠন কর্ণাটক রক্ষণা বেদিকে (কেআরভি) তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে, যার ফলে বেঙ্গালুরুর অবলহল্লি থানায় এফআইআর নথিভুক্ত হয়। এই বিতর্কের পর সোনু নিগম একটি ভিডিও প্রকাশ করে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

ভিডিওতে সোনু বলেন, “মাত্র চার-পাঁচজন গুন্ডা টাইপের লোক চিৎকার করছিল। হাজার হাজার দর্শক তাদের থামাতে চেষ্টা করছিল। কিছু মেয়ে তাদের বিরক্ত না করতে বলছিল। সেই পাঁচজনকে মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি ছিল যে পহলগামে যখন প্যান্ট খোলা হয়েছিল, তখন ভাষা জিজ্ঞাসা করা হয়নি।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, কন্নড়িগারা “অত্যন্ত মিষ্টি” মানুষ, কিন্তু প্রতিটি জায়গায় কিছু ব্যক্তি থাকে যারা অশান্তি সৃষ্টি করে। তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের লোকদের তৎক্ষণাৎ থামানো দরকার, নইলে পরে সমস্যা হয়।”

View this post on Instagram

A post shared by Sonu Nigam (@sonunigamofficial)

সোনু নিগম তাঁর বক্তব্যে কন্নড় সংস্কৃতি ও ভাষার প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “আমি সব ভাষায় গান গেয়েছি, কিন্তু আমার জীবনের সেরা গানগুলো কন্নড় ভাষায়।” তবে তিনি দর্শকদের হুমকিমূলক আচরণের সমালোচনা করে বলেন, “প্রেমের ভূমিতে যদি কেউ ঘৃণার বীজ বোনে, তাকে থামাতে হবে।” কন্নড় সমর্থক সংগঠন অভিযোগ করেছে, সোনুর মন্তব্য কন্নড়িগাদের অসহিষ্ণু হিসেবে চিত্রিত করেছে, যা ভাষাগত বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।

বিতর্ক তীব্র হওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ সোনুর পক্ষে বলেছেন, তিনি অভদ্রতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, অন্যরা তাঁর পহলগামের উল্লেখকে “অপ্রাসঙ্গিক” ও “আপত্তিকর” বলে সমালোচনা করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, এবং কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পে সোনুর উপর নিষেধাজ্ঞার দাবিও উঠেছে। এই ঘটনা ভারতে ভাষাগত সংবেদনশীলতা এবং সাংস্কৃতিক সম্মানের বিষয়ে গভীর প্রশ্ন তুলেছে।