পাহলগাম হামলায় পাক তারকাদের দ্বন্দ্ব, উরভা হুসেন বললেন—‘স্বদেশের পক্ষে দাঁড়ান’

ইসলামাবাদ: জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরমে উত্তপ্ত। এই হামলার নিন্দায় বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া এসেছে, তবে পাকিস্তানের তারকাদের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়েছে। মাহিরা খান, হানিয়া আমির এবং ফাওয়াদ খানের মতো জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেতারা যখন হামলার নিন্দা করে শোক প্রকাশ করেছেন, তখন অভিনেত্রী উরভা হুসেন তাঁদের এই অবস্থানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ভারত ইতিমধ্যে পাকিস্তানি তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে, এবং এর মধ্যেই উরভার মন্তব্য নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।
এক্স প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে উরভা বলেন, “ধরুন, আপনার সামনে একটি হত্যা হল। সবাই বলছে, এটা আপনি করেছেন। আপনার প্রথম প্রতিক্রিয়া কী হবে? আপনি কি বলবেন, এটা মানবতার বড় ক্ষতি, নাকি বলবেন, আমাকে অভিযুক্ত করার সাহস কী করে হল, আমি তো এটা করিনি?” তিনি আরও বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক প্রকল্পে কাজ করি, দেশের নাম উজ্জ্বল করি। কিন্তু পরীক্ষার সময় পক্ষ নিতে হয়। আপনি শুধু বলতে পারেন না, শান্তি ও সহানুভূতি দিয়ে এটি মোকাবিলা করা উচিত।” উরভা পরোক্ষভাবে সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “যদি কেউ একবার আপনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, আপনি আর ফিরবেন না। এখানে তো বারবার অপমানিত হয়েছেন। আগে আত্মসম্মান।”
এই বিতর্ক পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্যকে প্রকাশ করেছে। মাহিরা খান বলেছিলেন, “হিংসা যেখানেই হোক, তা কাপুরুষতা।” হানিয়া আমির লিখেছিলেন, “নিরীহ প্রাণের ক্ষতি সবার জন্য বেদনা।” কিন্তু উরভার মতে, এই মন্তব্য দেশের অবস্থানের বিরুদ্ধে। ভারতের কঠোর প্রতিক্রিয়া, যার মধ্যে ইন্দুস জলচুক্তি স্থগিত ও সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, পাকিস্তানে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উরভার মন্তব্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ চাপ এবং জাতীয়তাবাদী আবেগের প্রতিফলন। এই দ্বন্দ্ব দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও জটিল করছে।
