সিঙ্গামের ব্যবসায়িক মস্তিষ্ক: অজয় দেবগনের অফিস ভাড়া থেকে ৩.৩ কোটি টাকার লাভ

বলিউডের ‘সিঙ্গাম’ অজয় দেবগন শুধু তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্যই নয়, তাঁর তীক্ষ্ণ ব্যবসায়িক বুদ্ধির জন্যও সুপরিচিত। ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ রেজিস্ট্রেশন (IGR)-এর ওয়েবসাইটে স্কয়ার ইয়ার্ডস-এর নথি অনুযায়ী, অজয় মুম্বাইয়ের অন্ধেরি ওয়েস্টে অবস্থিত সিগনেচার টাওয়ারে একটি ২,৫৪৫ বর্গফুটের অফিস মাসিক ৫.৪৭ লক্ষ টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। এই চুক্তি মে ২০২৫-এ আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে, যা পাঁচ বছরে মোট ৩.৩ কোটি টাকার আয় নিশ্চিত করবে। অজয়ের এই বিনিয়োগ তাঁর ব্যবসায়িক দূরদর্শিতার প্রমাণ।
নথি অনুযায়ী, অজয় এই অফিসটি বোম্বে ডিজাইন সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেডকে ভাড়া দিয়েছেন। চুক্তিতে ৮৫,৫০০ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি এবং ১,০০০ টাকার নিবন্ধন ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, সঙ্গে ১৬.৪২ লক্ষ টাকার সিকিউরিটি ডিপোজিট। অজয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৩০.৩৫ কোটি টাকায় তিনটি অফিস ইউনিট কিনেছিলেন, যার প্রতিটির মূল্য ১০.১২ কোটি টাকা। প্রথম তিন বছরের জন্য ভাড়ার হার প্রায় ৬.৫% রিটার্ন দেবে। স্কয়ার ইয়ার্ডস জানায়, মে ২০২৫ থেকে এপ্রিল ২০৩০ পর্যন্ত এই লিজ চুক্তি চলবে, যেখানে প্রথম তিন বছর মাসিক ভাড়া ৫.৪৭ লক্ষ টাকা এবং শেষ দুই বছর ৬.২৯ লক্ষ টাকা হবে।
এর আগে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অজয় একই এলাকায় ৩,৪৫৫ বর্গফুটের আরেকটি অফিস মাসিক ৭ লক্ষ টাকায় ভাড়া দিয়েছিলেন, যার জন্য ৩০ লক্ষ টাকার সিকিউরিটি ডিপোজিট এবং ১.১২ লক্ষ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়া হয়। এই অফিসটি কবির খান এন্টারটেইনমেন্ট এলএলপি-কে লিজ দেওয়া হয়েছে। অজয় ও তাঁর স্ত্রী কাজল সিগনেচার টাওয়ারে একাধিক সম্পত্তির মালিক, যেখানে অমিতাভ বচ্চন, সারা আলি খান এবং কার্তিক আরিয়ানের মতো তারকারাও বিনিয়োগ করেছেন।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রেক্ষাপটে ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে অজয়ের এই বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য। তাঁর সম্পত্তি বিনিয়োগ শুধু আর্থিক লাভই নয়, মুম্বাইয়ের বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেটের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকেও তুলে ধরে। অজয়ের ব্যবসায়িক কৌশল তাঁকে বলিউডের অন্যতম সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।