‘মুসলিমদের ঘর দিই না’, জেসমিনের সঙ্গে লিভ-ইনের জন্য ঘর খুঁজতে গিয়ে অলির ধাক্কা

‘মুসলিমদের ঘর দিই না’, জেসমিনের সঙ্গে লিভ-ইনের জন্য ঘর খুঁজতে গিয়ে অলির ধাক্কা

মুম্বাই, ৭ মে: টেলিভিশনের জনপ্রিয় জুটি অলি গোনি (Aly Goni) এবং জুঁই ভাসিন (Jasmin Bhasin) দীর্ঘদিনের প্রেমের পর সম্প্রতি মুম্বাইয়ে একসঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনশিপে (Live-in Relationship) থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, তাদের জন্য উপযুক্ত ভাড়া বাড়ি খুঁজে পাওয়া মোটেও সহজ ছিল না। কাশ্মীরি মুসলিম (Kashmiri Muslim) পরিচয়ের কারণে অলিকে বারবার বৈষম্যের (Religious Discrimination) মুখোমুখি হতে হয়েছে। ইনকনট্রোভার্শিয়াল পডকাস্টে (InControversial Podcast) অলি জানান, পরিচিত অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও মুম্বাইয়ের বাড়িওয়ালারা তাকে ঘর ভাড়া দিতে অস্বীকার করেছেন।

অলি বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে কাশ্মীরি হওয়ার জন্য কখনও বৈষম্যের শিকার হইনি। কিন্তু ঘর খোঁজার সময় এই বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমি এবং জুঁই দীর্ঘদিন ধরে ঘর খুঁজছিলাম, কিন্তু অনেকে বলতেন, ‘আমরা মুসলিমদের ঘর দিই না।’ এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বয়স্ক মানুষ।” এই অভিজ্ঞতা অলি এবং জুঁইয়ের জন্য মর্মান্তিক ছিল, তবে তারা অবশেষে নতুন ঘরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু অলি নন, জৈন ইমাম, অঞ্জুম ফকিহ, উর্ফি জাভেদের মতো অভিনেতারাও ধর্মের কারণে মুম্বাইয়ে ঘর ভাড়া পেতে একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

View this post on Instagram

A post shared by 𝓣𝓱𝓮 𝓐𝓵𝔂 𝓖𝓸𝓷𝓲 (@alygoni)

অলি এবং জুঁইয়ের প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল ‘বিগ বস ১৪’-এর (Bigg Boss 14) মঞ্চে, যেখানে তারা সলমান খানের সামনে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে জুঁইয়ের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিতে আপত্তি করলেও, এখন উভয় পরিবারই তাদের সমর্থন করছে। সম্প্রতি তারা একটি ভ্লগের মাধ্যমে লিভ-ইনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। অলি বর্তমানে ‘লাফটার শেফস সিজন ২’-এ (Laughter Chefs Season 2) রিম শেখের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ওয়েব সিরিজ ‘জিত কি জিদ’-এ অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

এই ঘটনা ভারতে ধর্মীয় বৈষম্যের (Housing Discrimination) গভীর সমস্যাকে তুলে ধরেছে। বিশ্লেষকদের মতে, মুম্বাইয়ের মতো মহানগরীতেও এমন পক্ষপাতদুষ্ট মানসিকতা দুঃখজনক। অলি এবং জুঁইয়ের গল্প তাদের প্রেমের শক্তি এবং সামাজিক বাধা অতিক্রমের গল্প। তাদের নতুন অধ্যায়ে ভক্তরা উৎসাহিত, তবে এই ঘটনা সমাজে আরও সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *