মহাভারত নিয়ে আমির খানের বড় পরিকল্পনা, শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয়ের আগ্রহ

বলিউড তারকা আমির খান মহাভারতের একটি বড় মাপের অভিযোজন নির্মাণের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের কথা পুনরায় প্রকাশ করেছেন। এবিপি লাইভ আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া@২০৪৭’ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এই মহাকাব্যকে তাঁর হৃদয়ের কাছের প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে, এই বিশাল প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি সচেতন। আমির বলেন, “মহাভারত নির্মাণ আমার স্বপ্ন, কিন্তু এটি একটি কঠিন স্বপ্ন। মহাভারত কখনও আপনাকে হতাশ করবে না, কিন্তু আপনি মহাভারতের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হতে পারেন।” তাঁর এই বক্তব্য প্রকল্পের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধ প্রকাশ করে।
আমির নিশ্চিত করেছেন, মহাভারত একটি বৃহৎ ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে তৈরি হচ্ছে, যা একাধিক চলচ্চিত্রের সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। তিনি জানান, প্রকল্পের বিশালতার কারণে বিভিন্ন অংশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিচালক নিয়োগ করা হতে পারে, এবং তিনি নিজে পরিচালনার দায়িত্ব নাও নিতে পারেন। তিনি দ্য হলিউড রিপোর্টারকে বলেন, “অভিনেতা নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে চরিত্রের উপযুক্ততার ভিত্তিতে হবে।” তবে, তিনি শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকার প্রতি নিজের বিশেষ আকর্ষণ প্রকাশ করেন। “শ্রীকৃষ্ণের চরিত্র আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। আমি তাঁর থেকে অনুপ্রাণিত,” বলে তিনি উৎসাহ প্রকাশ করেন। তবে, তিনি সতর্কতার সঙ্গে যোগ করেন, “এখনই বড় ঘোষণা করতে চাই না।”
এই প্রকল্প মহাভারতের সাংস্কৃতিক ও দার্শনিক গভীরতাকে বিশ্ব দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি সুযোগ হতে পারে। আমিরের পারফেকশনিস্ট মনোভাব এবং ভারতীয় মহাকাব্যের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এই অভিযোজনকে একটি যুগান্তকারী প্রকল্পে রূপ দিতে পারে। তবে, এর জটিলতা এবং ব্যয় বিবেচনায় প্রকল্পটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ভক্তরা উৎসাহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন, কীভাবে আমির শ্রীকৃষ্ণের জটিল চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন। এই প্রকল্প ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।
আমিরের এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ভারতীয় সংস্কৃতির বিশ্বায়নের একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁর মতো একজন শিল্পী, যিনি ‘লগান’ ও ‘দঙ্গল’-এর মতো চলচ্চিত্রে সাফল্য পেয়েছেন, তাঁর হাতে মহাভারতের গল্প নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছতে পারে। তবে, প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করবে এর নির্মাণে সতর্কতা ও সৃজনশীলতার সমন্বয়ের উপর।