অনুষ্কাকে ‘সংস্কারী’ ভেবে সন্দেহ করেছিলেন পরিচালক, তবু বুলবুল হয়ে জিতলেন সবার মন

অনুষ্কাকে ‘সংস্কারী’ ভেবে সন্দেহ করেছিলেন পরিচালক, তবু বুলবুল হয়ে জিতলেন সবার মন

অনুষ্কা শর্মা আজ বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী ও প্রযোজক, যিনি ‘ফিলৌরি’, ‘বুলবুল’ ও ‘পরী’-এর মতো ছবি প্রযোজনা করে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। কিন্তু ২০১০ সালে, যখন তিনি সবে ‘রব নে বনা দি জোড়ি’ দিয়ে বলিউডে পা রেখেছেন, তখন ‘বদমাশ কো ম্পা নি’ ছবির পরিচালক পরমীত সেঠি তার ‘ট্র্যাডিশনাল’ চেহারা দেখে সন্দিহান ছিলেন। সম্প্রতি ছবিটির ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্ক্রিন ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরমীত জানান, “অনুষ্কাকে ‘রব নে বনা দি জোড়ি’তে দেখে মনে হয়েছিল, তিনি খুব সংস্কারী। বুলবুলের মতো আধুনিক, বেপরোয়া চরিত্রের জন্য তিনি ঠিক হবেন কিনা ভেবেছিলাম।” কিন্তু অনুষ্কার সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বুঝেছিলেন, এই চরিত্রের জন্য তিনিই সেরা পছন্দ।


‘বদমাশ কো ম্পা নি’ ছিল শাহিদ কাপুর ও অনুষ্কার জুটির একটি উল্লেখযোগ্য ছবি। পরিচালক জানান, শাহিদকে কাস্ট করাও সহজ ছিল না। শাহিদ প্রথমে তার বাবা পঙ্কজ কাপুরের সঙ্গে অন্য একটি ছবিতে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্ক্রিপ্ট পড়ে তিনি মুগ্ধ হন এবং করণ কাপুরের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হন। ২০ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই ছবি ভারতে ৪৪ কোটি টাকা আয় করেছিল। মিয়াং চ্যাং, বীর দাস, জামিল খান ও অনুপম খেরের মতো অভিনেতারাও ছিলেন এই ছবিতে। অনুষ্কার বুলবুল চরিত্র দর্শকদের মনে গেঁথে গিয়েছিল, যা প্রমাণ করে তিনি যেকোনো চরিত্রে নিজেকে ঢেলে সাজাতে পারেন। “অনুষ্কার বহুমুখী প্রতিভা তাকে আজকের সাফল্যে পৌঁছেছে,” বলছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষক রাহুল ভার্মা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *