ভারতীয় সিনেমার বৈশ্বিক ডাক, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ‘গুডবাই মাউন্টেন’ আন্তর্জাতিক মঞ্চে
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/05/Rituparna-Sengupta.jpg?w=640&resize=640,360&ssl=1)
ভারতীয় সিনেমা, তা সে যে অঞ্চল বা ভাষাতেই হোক না কেন, বিশ্ব দরবারে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সম্প্রতি অরোভিলের সিনেমা প্যারাডিসোতে তাঁর নতুন ছবি ‘গুডবাই মাউন্টেন’-এর প্রিভিউ স্ক্রিনিংয়ে এ কথা জানান। ইন্দ্রাশিস আচার্য পরিচালিত এই ছবিটি কেরলের ওয়ানাডের মনোরম পটভূমিতে একটি প্রৌঢ় প্রেমের গল্প। ঋতুপর্ণা বলেন, “সিনেমা এখন বিশ্বজনীন। ভারতীয় ছবি তৈরির সময় আমরা এমন গল্প বলছি, যা ভাষার সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের যেকোনো দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়।” তাঁর সাম্প্রতিক বাংলা ছবি ‘পুরাতন’, যেখানে ১৪ বছর পর শর্মিলা ঠাকুরের বাংলা সিনেমায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে, ওয়াশিংটন ডিসি সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে।
‘গুডবাই মাউন্টেন’ সম্পর্কের গভীরতা ও জীবনের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ঋতুপর্ণা বলেন, “এই ছবি জীবনের এক ভিন্ন বোঝাপড়া তুলে ধরে। স্থিতিশীল সম্পর্কেও মানুষ কখনো কখনো নিজের সান্ত্বনার জায়গা খোঁজে। নিজের সত্যের মুখোমুখি হওয়া জরুরি, যত কঠিনই হোক।” ইন্দ্রাশিসের সঙ্গে এটি তাঁর দ্বিতীয় সহযোগিতা, এর আগে তারা ‘দ্য পার্সেল’ নিয়ে অরোভিলে এসেছিলেন। অরোভিলের বৈচিত্র্যময় দর্শকদের মাঝে এই স্ক্রিনিংকে পরিচালক ‘অনানুষ্ঠানিক বিশ্ব প্রিমিয়ার’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ঋতুপর্ণা যোগ করেন, “এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শকদের প্রতিক্রিয়া আমাদের ছবির বৈশ্বিক আবেদনের প্রমাণ।” তিনি সমাজে সম্পর্কের বৈচিত্র্য ও জটিলতার উপর আলোকপাত করার জন্য সিনেমার ভূমিকার উপর জোর দেন।
২০০-এর বেশি ছবিতে অভিনয় করা ঋতুপর্ণা বাণিজ্যিক ও সমান্তরাল সিনেমার মাঝে ভারসাম্য রেখে চলেছেন। ‘দহন’, ‘উৎসব’, ‘রাজকাহিনী’ থেকে ‘পুরাতন’-এর মতো ছবি তাঁর বহুমুখী প্রতিভার সাক্ষ্য বহন করে। তিনি বলেন, “আমি সবসময় নতুন চরিত্রে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে চাই। ‘পুরাতন’ মা-মেয়ের সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরেছে, যা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে।” আগামী দিনে তাঁর ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’ ও ‘ইত্তার’-এর মতো ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। ঋতুপর্ণার এই যাত্রা ভারতীয় সিনেমার বিশ্ব মঞ্চে ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিফলন।