বলিউডে এমন অনেক নাম আছে, যারা কঠোর পরিশ্রম ও সংগ্রামের মাধ্যমে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী তাঁদের মধ্যে একজন, যিনি তাঁর অসাধারণ অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন। তবে, তাঁর এই যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। আর্থিক সংকট ছিল তাঁর পথের সবচেয়ে বড় বাধা। কিন্তু প্রতিভা এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে তিনি আজ বলিউডের শীর্ষ অভিনেতাদের একজন।
উত্তর প্রদেশের মুজফফরনগরের বাসিন্দা নওয়াজ একসময় চৌকিদার হিসেবে কাজ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, থিয়েটারের প্রতি তাঁর ভালোবাসা তাঁকে এই কাজে ঠেলে দিয়েছিল। তবে, শারীরিক দুর্বলতার কারণে এই চাকরি তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চৌকিদারের কাজ করতেন এবং রাতে থিয়েটারে সময় দিতেন। কিন্তু কাজের সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ার ঘটনায় তাঁর মালিক তাঁকে বরখাস্ত করেন। চাকরির জন্য তাঁকে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে মায়ের গয়না বিক্রি করতে হয়েছিল।
নওয়াজ স্মরণ করেন, গয়না বিক্রির সময় তিনি ভেবেছিলেন, টাকা ফিরে এলে আবার গয়না কিনে দেবেন। কিন্তু চাকরি হারানোর পর সেই ডিপোজিটও ফেরত পাননি। ১৯৯৯ সালে ‘সরফরোশ’ সিনেমায় ছোট একটি চরিত্রে তিনি বলিউডে পা রাখেন। সেই সংগ্রামের দিন থেকে আজ তিনি সালমান খানের সঙ্গে ‘বাজরঙ্গি ভাইজান’ এবং শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রইস’-এর মতো সিনেমায় কাজ করেছেন। আজ নওয়াজ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এবং বলিউডের একজন সম্মানিত অভিনেতা। তাঁর এই যাত্রা প্রমাণ করে, কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিভা দিয়ে যে কোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।