কেসরি থেকে তনু ওয়েডস মানু: বিনা প্রত্যাশায় বলিউডের সেরা সিক্যুয়েলগুলো ছাড়িয়ে গেল

কেসরি থেকে তনু ওয়েডস মানু: বিনা প্রত্যাশায় বলিউডের সেরা সিক্যুয়েলগুলো ছাড়িয়ে গেল

বলিউডে সিক্যুয়েল সবসময় সফল হয় না, কিন্তু কিছু সিক্যুয়েল প্রত্যাশা ছাড়িয়ে দর্শকদের মন জয় করেছে। এই সিনেমাগুলো প্রথম অংশের ঐতিহ্য বজায় রেখে নতুন গল্প ও আবেগ দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। এখানে পাঁচটি সেরা সিক্যুয়েলের কথা তুলে ধরা হলো।
কেসরি/কেসরি ২: ২০১৯-এ অক্ষয় কুমার ও পরিণীতি চোপড়া অভিনীত ‘কেসরি’ সারাগড়ির যুদ্ধের গল্পে দর্শকদের মন জয় করেছিল। কেউ ভাবেনি এর সিক্যুয়েল আসবে। ২০২৫-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কেসরি চ্যাপ্টার ২’ জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ড ও উকিল সি. শঙ্করন নায়ারের আইনি লড়াইয়ের গল্প নিয়ে এসেছে। এক্স-এ ভক্তরা বলছেন, “অক্ষয়ের অভিনয় ও ঐতিহাসিক গল্প আবারও হৃদয় ছুঁয়েছে।” এই সিক্যুয়েল প্রথম অংশের মতোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
তনু ওয়েডস মানু/রিটার্নস: ২০১১-এ কঙ্গনা রানাউত ও আর. মাধবনের ‘তনু ওয়েডস মানু’ তার হাস্যরস ও সরল গল্পে দর্শকদের মন জয় করেছিল। ২০১৫-এ ‘তনু ওয়েডস মানু রিটার্নস’-এ কঙ্গনার ডাবল রোল (তনু ও দত্তো) এবং নতুন গল্পের কারণে এটি প্রথম অংশকে ছাড়িয়ে যায়। এক্স-এ একজন ভক্ত লিখেছেন, “কঙ্গনার দত্তো চরিত্রে হাসি ও আবেগের মিশ্রণ অসাধারণ।”
মুন্না ভাই এমবিবিএস/লাগে রাহো: ২০০৩-এ রাজকুমার হিরানির ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ মুন্না ও সার্কিটের গল্পে নতুনত্ব এনেছিল। ২০০৬-এ ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’ গান্ধীবাদী দর্শনকে সরলভাবে উপস্থাপন করে প্রথম অংশের চেয়েও বেশি প্রশংসা পায়। এক্স পোস্টে বলা হয়, “গান্ধীগিরি আমাদের হৃদয়ে চিরকাল থাকবে।”
আশিকি/আশিকি ২: ১৯৯০-এর ‘আশিকি’ তার সঙ্গীত ও রোমান্সের জন্য ক্লাসিক। ২০১৩-এ ‘আশিকি ২’-এ শ্রদ্ধা কাপুর ও আদিত্য রায় কাপুরের রসায়ন, অসাধারণ সঙ্গীত (তুম হি হো, সুন্ন রাহা হৈ) এবং আবেগময় গল্প দর্শকদের মুগ্ধ করে। এটি আধুনিক যুগের কাল্ট ক্লাসিক হয়ে ওঠে। এক্স-এ ভক্তরা বলেন, “আশিকি ২-এর গান আজও হৃদয়ে বাজে।”
হেরা ফেরি/ফির হেরা ফেরি: ২০০০-এর ‘হেরা ফেরি’ তার কমেডি, চরিত্র (রাজু, শ্যাম, বাবুরাও) ও ডায়লগের জন্য ক্লাসিক। ২০০৬-এ ‘ফির হেরা ফেরি’ নতুন গল্প ও অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টি, পরেশ রাওয়ালের ত্রয়ী দিয়ে দর্শকদের হাসিয়ে কাঁদিয়েছে। এক্স-এ একজন লিখেছেন, “বাবুরাওর ‘ইয়ে বাবুরাও কা স্টাইল হৈ’ চিরকালের হাসির খোরাক।”
বিশ্লেষণ: এই সিক্যুয়েলগুলো সফল হয়েছে কারণ তারা প্রথম অংশের সারাংশ ধরে রেখে নতুন গল্প, শক্তিশালী অভিনয় ও স্মরণীয় সঙ্গীত দিয়েছে। কেসরি ২-এর ঐতিহাসিক গভীরতা, তনু ওয়েডস মানু রিটার্নস-এর হাস্যরস, লাগে রাহো-র দর্শন, আশিকি ২-এর রোমান্স এবং ফির হেরা ফেরি-র কমেডি ভক্তদের অপ্রত্যাশিত উপহার দিয়েছে। এই সিনেমাগুলো প্রমাণ করে যে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে সিক্যুয়েল প্রথম অংশকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *