তামান্না ভাটিয়ার মাইসোর স্যান্ডেল সোপ চুক্তি: বিতর্কের মাঝে তার জীবন কাহিনি

কর্ণাটক সরকার মাইসোর স্যান্ডেল সোপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে নিয়োগ করেছে, যিনি ২ বছরের জন্য ৬.২ কোটি টাকার চুক্তি সই করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, কারণ অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন কেন স্থানীয় কন্নড় অভিনেত্রীদের বাদ দিয়ে তামান্নাকে বেছে নেওয়া হলো। তামান্নার জন্ম ১৯৮৯ সালের ২১ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে। তাঁর পিতা সন্তোষ ভাটিয়া একজন হীরা ব্যবসায়ী, এবং মা রজনী ভাটিয়া। তাঁর বড় ভাই আনন্দ ভাটিয়া আমেরিকায় চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। তামান্না মুম্বাইয়ের মানেকজি কুপার এডুকেশন ট্রাস্ট থেকে স্কুল শিক্ষা এবং ন্যাশনাল কলেজ থেকে দূরশিক্ষণে আর্টসে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তামান্নার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৫ সালে বলিউড ফিল্ম ‘চাঁদ সে রোশন চেহরা’ দিয়ে। একই বছর তিনি তেলুগু সিনেমায় ‘শ্রী’ এবং ২০০৬ সালে তামিল সিনেমায় ‘কেডি’ দিয়ে পা রাখেন। তবে ২০১৫ সালে ‘বাহুবলী’ তাঁকে সারা ভারতে পরিচিতি এনে দেয়। সম্প্রতি ২০২৪ সালে ‘স্ত্রী ২’-এর ‘আজ কি রাত’ গানে তাঁর আইটেম নম্বর দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তামান্না ২৮.২ মিলিয়ন ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার সহ প্যান-ইন্ডিয়া তারকা।
কর্ণাটকের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী এমবি পাটিল তামান্নার নিয়োগের পক্ষে বলেন, “দীপিকা পাড়ুকোন, রশ্মিকা মন্দানা, পূজা হেগড়ে এবং কিয়ারা আডবাণীকে বিবেচনা করা হয়েছিল, কিন্তু রশ্মিকার অন্য প্রকল্প, দীপিকার ব্যস্ততা এবং বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে তামান্নাকে বেছে নেওয়া হয়। তাঁর প্যান-ইন্ডিয়া আবেদন এবং সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি মাইসোর স্যান্ডেলকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রসারিত করতে সহায়ক হবে।” কেএসডিএল-এর লক্ষ্য ২০২৮ সালের মধ্যে ৫০০০ কোটি টাকার টার্নওভার অর্জন। তবে, কন্নড় সংগঠনগুলি এই সিদ্ধান্তকে “কন্নড় সংস্কৃতির অপমান” বলে প্রতিবাদ করছে।