ঠাকুমার বয়সী অভিনেত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা, শুটিং ছেড়ে কাঁদতে কাঁদতে পালালেন সুস্মিতা সেন

বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন তার শক্তিশালী অভিনয় এবং ওয়েব সিরিজ ‘আরিয়া’ ও ‘তালি’ দিয়ে আবারও আলোচনায়। তবে তার সুদীর্ঘ কর্মজীবনে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাও রয়েছে, যা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছিল। ২০০৬ সালের চলচ্চিত্র ‘চিংারি’-এর শুটিংয়ের সময় ঘটে যাওয়া এক ঘটনা তাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়, যা তিনি কখনও ভুলতে পারেননি। এই ছবিতে একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তাকে মানসিক আঘাতের শিকার হতে হয়েছিল।
নিউজ১৮-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সুস্মিতা ‘চিংারি’ ছবিতে বসন্তী নামের এক যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রটি ভূপেন হাজারিকার উপন্যাস ‘দ্য প্রস্টিটিউট অ্যান্ড দ্য পোস্টম্যান’ অবলম্বনে নির্মিত। সুস্মিতা একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, “যখন প্রতিটি দৃশ্যে একজন পুরুষ আমাকে স্পর্শ করত, আমি খুব অস্বস্তি বোধ করতাম। আমি জানতাম এটা অভিনয়, কিন্তু বসন্তীর কষ্ট আমার মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল।” সিনেমার একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের পর সুস্মিতা এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে তিনি কাঁদতে কাঁদতে সেট ছেড়ে চলে যান।
এই ঘটনার পর সুস্মিতা পরিচালক কল্পনা লাজমিকে অভিযোগ করেন যে সহ-অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী তাকে ‘ভুলভাবে স্পর্শ’ করেছেন। যদিও পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে সুস্মিতা স্বীকার করেন যে তিনি সম্ভবত অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। বিষয়টি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয় এবং এরপর থেকে তারা কেউই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেননি। পরবর্তীতে, ছবির প্রচারণার সময় সহ-অভিনেতা অনুজ সাহনি সুস্মিতার সঙ্গে একটি চুম্বন দৃশ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন যে সেটির জন্য ৩৬টি রিটেক নিতে হয়েছিল। এই মন্তব্যে সুস্মিতা ক্ষুব্ধ হন এবং নিজেকে ছবির প্রচার থেকে সরিয়ে নেন। অনুজ পরে ক্ষমা চাইলেও সুস্মিতা তার উপর আস্থা রাখতে পারেননি।