ঐতিহ্যের বেড়াজাল ভাঙছে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা, নতুন দিগন্তে মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫

হায়দ্রাবাদে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫-এর জমকালো গ্র্যান্ড ফিনালে, যা সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। একটা সময় ছিল যখন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি ছিল, যেমন ফর্সা ত্বক, স্লিম ফিগার এবং অবিবাহিত অবস্থা। কিন্তু সময় বদলেছে। গত কয়েক বছরে মিস ওয়ার্ল্ড এবং মিস ইউনিভার্সের মতো বড় প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের পুরোনো ধ্যানধারণা ভেঙে বেরিয়ে এসেছে। এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছেন কিছু সাহসী প্রতিযোগী, যারা প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের প্রমাণ করেছেন।
এই পরিবর্তনের ঢেউয়ে প্লাস-সাইজ মডেল থেকে শুরু করে মা ও রূপান্তরকামী নারীরাও এখন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। নেপালের জেন দীপিকা গ্যারেট ২০২৩ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথম প্লাস-সাইজ প্রতিযোগী হিসেবে ইতিহাস গড়েন, যা প্রমাণ করে সৌন্দর্যের কোনো নির্দিষ্ট আকার নেই। তেমনি, গুয়াতেমালার মিশেল কোহেন মা হয়েও মিস ইউনিভার্স মঞ্চে অংশ নিয়ে মাতৃত্ব ও নারীর ক্ষমতায়নের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বর্ণ, লিঙ্গ, বা শারীরিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে সৌন্দর্যকে বিচার করার দিন এখন অতীত। দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি তুনজি ২০১৯ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতে প্রমাণ করেছেন যে প্রকৃত সৌন্দর্য যেকোনো বর্ণে থাকতে পারে। একইভাবে, স্পেনের অ্যাঞ্জেলা পোনসে ২০১৮ সালে মিস ইউনিভার্স স্পেনের মুকুট জিতে প্রথম রূপান্তরকামী নারী হিসেবে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, যা লিঙ্গ পরিচয়ের প্রতি সমাজের ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতাকে তুলে ধরে। এমনকি, বিকিনি রাউন্ডে বুরকিনি বা কনজারভেটিভ সুইমস্যুট পরার বিকল্পও এখন প্রতিযোগিতায় যোগ হয়েছে, যা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের পরিচায়ক।