শ্বেতা বচ্চন কেন স্বামীর সঙ্গে না থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন, জানুন আসল কারণ

বলিউডের জনপ্রিয় পরিবারগুলির মধ্যে বচ্চন পরিবার অন্যতম। বিভিন্ন কারণে তারা সবসময় আলোচনায় থাকে, কখনও ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেকের বিবাহবিচ্ছেদের গুজব, আবার কখনও পারিবারিক কলহ।
অমিতাভ বচ্চন তার প্রিয় মেয়ে শ্বেতাকে কতটা ভালোবাসেন তা সবারই জানা। একইভাবে, শ্বেতাও তার বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন প্রদর্শনের কোনো সুযোগ ছাড়েন না। তিনি কেবল তাদের সঙ্গেই থাকেন না, জীবনের প্রতিটি বিশেষ মুহূর্ত এবং উপলক্ষ্য তাদের সাথে উদযাপন করেন।
শ্বেতা বচ্চন নন্দা কেন স্বামীর সঙ্গে থাকেন না
বচ্চন পরিবারের আদরের মেয়ে শ্বেতা বচ্চন নন্দা তার স্বামীর সঙ্গে না থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকেন। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, শ্বেতার যখন বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি বা স্বামীর সঙ্গে কোনো বিবাদ নেই, তাহলে তিনি কেন বাবা-মায়ের বাড়িতে থাকেন?
শ্বশুরবাড়ি ও স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না
শ্বেতাকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রতিটি অনুষ্ঠানে দেখা যাওয়ায় অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করেন। কিছু ট্রোলার প্রশ্ন তোলেন, শ্বেতা শ্বশুরবাড়িতে না থেকে কেন বাবা-মায়ের বাড়িতে থাকেন? কেউ কেউ অনুমান করেন যে অমিতাভের প্রিয় মেয়ে তার শ্বশুরবাড়ি এবং স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না, তাই তিনি বাবা-মায়ের বাড়িতে থাকেন। তবে আসল কারণটি ভিন্ন।
স্বামীর উপার্জনের উপর নির্ভরশীল থাকতে চান না
শ্বেতা বচ্চন অবশ্যই তার শ্বশুরবাড়ি থেকে দূরে থাকেন, তবে এর অর্থ এই নয় যে তার স্বামীর সাথে কোনো সমস্যা আছে। শ্বেতা বচ্চন এবং নিখিল নন্দা দুজনেই ভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত, যে কারণে এই দম্পতিকে খুব কমই একসঙ্গে দেখা যায়। শ্বেতা একজন লেখক-মডেল এবং ফ্যাশন ডিজাইনার, অন্যদিকে তার স্বামী নিখিল নন্দা এসকর্টস গ্রুপের বর্তমান ম্যানেজিং ডিরেক্টর। শ্বেতার স্বামীর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও, তিনি স্বামীর উপার্জনের উপর নির্ভরশীল থাকতে পছন্দ করেন না। শ্বেতা কেবল নিজের পরিচয় তৈরি করেননি, নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে সন্তানদের সব ইচ্ছা পূরণ করেন।
ক্যারিয়ারের জন্য বড় সিদ্ধান্ত
শ্বেতার বিয়ে হয়েছিল মাত্র ২১ বছর বয়সে। তিনি তার দাম্পত্য জীবনকে নিখুঁত করতে কোনো কসরত করেননি। দুই সন্তানের জন্মের পর তিনি পুরোপুরি তাদের লালন-পালনে ব্যস্ত ছিলেন। বিয়ের প্রায় ১০ বছর পর তিনি আবার নিজের ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করেন। শ্বেতা নিজের জন্য যে ক্যারিয়ার বেছে নিয়েছিলেন, তার জন্য তাকে দিল্লি থেকে মুম্বাই চলে আসতে হয়েছিল। যেহেতু তার বাবা-মা মুম্বাইয়ে থাকেন, তাই তিনি তাদের বাড়িতেই থাকেন।