আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই উপলক্ষে নারীদের অধিকার, তাঁদের শক্তি এবং তাঁদের সম্মান নিয়ে চারপাশে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন স্থানে মহিলাদের উন্নতির জন্য নানা ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এই মাঝেই মহারাষ্ট্র থেকে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক নেতা মহিলাদের এক হত্যা করার ছাড় দেওয়ার দাবি করেছেন। কিন্তু কেন তিনি এমন দাবি করেছেন? আসুন, সেটিও জেনে নেওয়া যাক।

আসলে, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)- শরদচন্দ্র পওয়ারের মহিলা শাখা নারীদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে এক হত্যা করার শাস্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পার্টির মহিলা শাখার সভাপতি রোহিণী খাড়সে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তিনি নারীদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা অত্যাচারের কথা উল্লেখ করে, আত্মরক্ষার্থে এক হত্যা করার শাস্তি থেকে ছাড় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

মহিলাদের জন্য হত্যা করার শাস্তি থেকে মুক্তির দাবি

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মহিলারা অত্যাচারী মানসিকতা, ধর্ষণের প্রবণতা এবং নিষ্ক্রিয় আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবসান চাইছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি মুম্বইয়ে ১২ বছর বয়সী এক কন্যার উপর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। রোহিণী খাড়সে বলেছেন যে, নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ লাগাতার বেড়েই চলেছে। তিনি চিঠিতে বলেছেন, “আমরা সকল নারীর পক্ষ থেকে এক হত্যা করার শাস্তি থেকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।”

মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ এনসিপির

আসলে, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)- শরদচন্দ্র পওয়ারের মহিলা শাখার এই চিঠির উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করা। পার্টির চিঠিতে এক সমীক্ষার রিপোর্টেরও উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে ভারতের মতো দেশে মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। কারণ, এখানে অপহরণ থেকে শুরু করে গার্হস্থ্য হিংসা পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধ নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হচ্ছে।

রোহিণী খাড়সে তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, “আমরা আশা করি রাষ্ট্রপতি মুর্মু আমাদের দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন এবং আমাদের এই অনুরোধ গ্রহণ করবেন।”