মহিলা এমন এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন, ডাক্তারও দেখে অবাক, নার্সের তো চিৎকারই বেরিয়ে গেল
আমেরিকার আলাবামায় এক মহিলা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, যা এখন পুরো দেশে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। শিশুটির ডেলিভারি করানো ডাক্তাররাও তাকে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন, আর নার্সের তো চিৎকারই বেরিয়ে গিয়েছিল। ওই মহিলার নাম পামেলা ম্যান, যিনি বার্মিংহামে থাকেন এবং পেশায় একজন ডেলিভারি ড্রাইভার।
তিনি এই মঙ্গলবার এক কন্যা সন্তান, যার নাম প্যারিস হ্যালো, জন্ম দিয়েছেন।
আলাবামার গ্র্যান্ড ভিউ মেডিকেল সেন্টারে এই শিশুটির জন্ম সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে হয়। যখন শিশুটি পৃথিবীতে আসে, তখন ডেলিভারি রুমে উপস্থিত সবাই তাকে দেখে হতবাক হয়ে যান। পামেলা বলেন, ‘ডাক্তার যখন তাকে আমার কাছ থেকে বের করলেন, তখন সব নার্সের মুখ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে “ওহ গড” বেরিয়ে এলো।’ তিনি বলেন, ‘তাদের কথা শুনে আমিও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, কারণ প্রথমে বুঝতেই পারছিলাম না আসলে কী হয়েছে।’
আসলে, ডাক্তার এবং নার্সরা শিশুটির ওজন দেখে চমকে গিয়েছিলেন। প্যারিস জন্মের সময় ১৩ পাউন্ড ৪ আউন্স (প্রায় ৬ কেজির সামান্য বেশি) ওজনের ছিল। সাধারণত, একটি সুস্থ শিশুর জন্মের সময় গড় ওজন হয় ৭ পাউন্ড (প্রায় ৩.১৭ কেজি)।
WVTM13-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুটির জন্মের চার সপ্তাহ আগে ডাক্তাররা তার ওজন ৮ পাউন্ড অনুমান করেছিলেন, কিন্তু একজন টেকনিশিয়ান বলেন যে তার ওজন ১০ পাউন্ড হবে। পামেলা বলেন, ‘পরে দেখা গেল, ওজন এর থেকেও অনেক বেশি!’
হাসপাতালের নার্সরাও বারবার এসে এই “বাহুবলী” শিশুটিকে অবাক হয়ে দেখছিলেন। পামেলা বলেন, ‘সে মাত্র তিন দিনের, আর এখন থেকেই খুব বিখ্যাত হয়ে গেছে।’
এই শিশুটি নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগেই জন্ম নিয়েছে। এখনই তাকে ৬ মাস বয়সী শিশুর কাপড় পরানো হচ্ছে।
যদিও প্যারিসের ওজন অনেক বেশি, তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে ভারী নবজাতক শিশুর কাছাকাছিও নয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, ১৯৫৫ সালে ইতালিতে জন্ম নেওয়া সবচেয়ে ভারী শিশুটির ওজন ছিল ২২ পাউন্ড (প্রায় ১০ কেজি)।