নববিবাহিত দম্পতির বিয়ের রাতই শেষ রাত হয়ে উঠল, বিছানায় পাওয়া গেল নববিবাহিত কনের মৃতদেহ এবং বর…

নববিবাহিত দম্পতির বিয়ের রাতই শেষ রাত হয়ে উঠল, বিছানায় পাওয়া গেল নববিবাহিত কনের মৃতদেহ এবং বর…

রবিবার জেলার সাহাদতগঞ্জ থানা এলাকার মুরাওয়ান টোলায় এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাটি যে শুনেছে সে অবাক হয়েছে। আসলে, মুরাভান টোলায়, এক নববিবাহিত দম্পতি তাদের বিয়ের রাতে সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মারা গেছেন।

বরের মৃতদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কনের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে ছিল।

নববিবাহিত দম্পতির মৃতদেহ এভাবে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হতবাক। পরিবারের বিয়ের আনন্দ হঠাৎ করেই শোকে পরিণত হয়েছে। এলাকায়ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলি হেফাজতে নেয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। ঘটনার পেছনের কারণ এখনও জানা যায়নি।

নবদম্পতির সংবর্ধনা আজ হওয়ার কথা ছিল

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২৪ বছর বয়সী প্রদীপ এবং ২২ বছর বয়সী শিবানীর বিয়ে হয়েছিল ৭ মার্চ। গত শনিবার (৮ মার্চ), বর তার কনেকে বিদায় জানিয়ে সোহাওয়ালের দেওরহি থেকে ফিরে আসেন। রবিবার রাতে নবদম্পতির সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল।

বিবাহিত দম্পতির বিয়ের রাত ছিল ৮ই মার্চ। রবিবার সকালে যখন ঘরের দরজা অনেকক্ষণ খোলা হয়নি। তাই পরিবারের সদস্যরা জোরে চিৎকার করে উঠল এবং এমনকি দরজায় ধাক্কা দিল। কিন্তু ঘর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া গেল না। যার কারণে পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কা করেছিলেন যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

পরিবারের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল

ঘর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে পরিবারটি জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে। তখন পরিবারের সকলের পায়ের তলায় মাটি সরে যায়। প্রদীপের দেহ ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত ছিল। নববিবাহিতা শিবানীর মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে। কেন নববিবাহিত দম্পতি এই ভয়াবহ পদক্ষেপ নিলেন? এর উত্তর কারো কাছে নেই। বিবাহিত দম্পতির মৃতদেহ পাওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের ভিড় জমে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের সাথে আসা ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। পুলিশ মৃতদেহগুলি হেফাজতে নিয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। পুলিশের মতে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *