মহারাষ্ট্রের পুনেতে ট্রাফিক সিগন্যালে প্রস্রাব করা গৌরব আহুজাকে (Pune Gaurav Ahuja Case) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

যা ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য একজন যাত্রী রেকর্ড করেছিলেন। এই ভিডিওতে, গৌরব আহুজাকে তার বিএমডব্লিউ গাড়ি থেকে নেমে ট্র্যাফিক সিগন্যালে প্রস্রাব করতে এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যাচ্ছে (পুনে বিএমডব্লিউ ইউরিন কেস)। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর, গৌরব আহুজা সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।

একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে, লোকটিকে বিএমডব্লিউ থেকে নেমে ট্র্যাফিক স্টপে প্রস্রাব করতে এবং রাস্তার মাঝখানে বিএমডব্লিউর গেট খোলা রাখতে দেখা যায়। এই সময় তার বন্ধু ভাগ্যেশ ওসওয়ালও উপস্থিত ছিলেন, যিনি বিলাসবহুল গাড়ির সামনের সিটে বসে ছিলেন। খবর অনুযায়ী, পুলিশ ইতিমধ্যেই ওসওয়ালকে হেফাজতে নিয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর, গৌরব তার ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে নেন। ভিডিওতে তিনি বলেছেন,

‘আমাকে একটা সুযোগ দাও।’ আমি আগামী এক ঘন্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করব।

পুলিশের ধারণা, ঘটনার সময় দুজনেই মাতাল ছিলেন। ভাইরাল ভিডিওটির ভিত্তিতে, পুলিশ তাদের দুজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় বিচার কোড এবং মোটর যানবাহন আইনের অধীনে মামলা দায়ের করেছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ধারা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উপদ্রব, দ্রুতগতি এবং অবহেলাজনিত গাড়ি চালানো, যা জনসাধারণের রাস্তায় বিপদ তৈরি করে। ইয়েরওয়াড়া থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে ৮ মার্চ সন্ধ্যায় ভাগ্যেশকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অন্যদিকে গৌরবকে গভীর রাতে সাতারার করাদ তহসিল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাজি ব্যবসা

প্রতিবেদন অনুসারে, ঘটনার তদন্তে জানা গেছে যে গৌরব আহুজা এবং তার বাবা মনোজ আহুজা জুয়া সম্পর্কিত ব্যবসায় জড়িত। যার মধ্যে পোকার গেম চালানো এবং ক্রিকেট ম্যাচে বাজি ধরাও অন্তর্ভুক্ত। ২০২১ সালে, গৌরব আহুজার বিরুদ্ধে জুয়া এবং চাঁদাবাজির মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। তখন তার বয়স ছিল ২০ বছর। পুনে পুলিশ গৌরব এবং তার বাবার কথিত অবৈধ সম্পত্তির তদন্ত করছে।