দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী দলনেত্রী আতিশি মহিলা সম্মান নিধি বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন। আতিশি বলেছেন যে, ৮ মার্চে না কোনো অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, না রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, শুধু ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অর্থাৎ, “পর্বত খনন করে ইঁদুর পাওয়া গেল”। তিনি বলেন, মোদীজির গ্যারান্টি কেবলমাত্র একটি প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি মহিলাদের সঙ্গে মিথ্যে কথা বলেছেন।

আতিশি তার অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, দিল্লি নির্বাচনে মোদীজি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—মহিলা দিবসে দিল্লির প্রতিটি মহিলার অ্যাকাউন্টে ₹২৫০০ জমা হবে। তিনি বলেছিলেন—এটি “মোদীর গ্যারান্টি”! আজ ৮ মার্চ, কিন্তু না টাকা এসেছে, না রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, কেবলমাত্র ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। অর্থাৎ, পর্বত খনন করে ইঁদুর পাওয়া গেল।

মোদীজির গ্যারান্টি শুধুই প্রতিশ্রুতি!

এখানেই শেষ নয়, আতিশি আরও বলেন, এটাই কি মোদীজির গ্যারান্টি ছিল? তিনি বলেন, দিল্লির বিজেপি সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে যে মোদীজির গ্যারান্টি কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিল, মহিলাদের সঙ্গে মিথ্যা বলা হয়েছিল। বিজেপি এটা প্রমাণ করেছে যে এটাই কেবলমাত্র শুরু, তাদের ইশতেহারের সব প্রতিশ্রুতিই এমন মিথ্যা প্রমাণিত হবে।

আতিশি এক প্রেস কনফারেন্সে বিজেপিকে প্রশ্ন করেন যে, ৪ সদস্যের কমিটি গঠনের সঙ্গে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ₹২৫০০ জমা হওয়ার মধ্যে কি কোনো পার্থক্য নেই? তিনি বলেন, দিল্লি নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ৮ মার্চ থেকে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ₹২৫০০ পাঠানো হবে। আজ ৮ মার্চ, কিন্তু কোনো মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা আসেনি।

দিল্লিবাসীরা পেলেন ‘ঝুনঝুনি’!

আতিশি বলেন, দিল্লির বিজেপি সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে যে মোদীর গ্যারান্টি আদতে কোনো গ্যারান্টি নয়, বরং একটি রাজনৈতিক প্রতারণা। আতিশি আরও বলেন, মহিলাদের ৪ সদস্যের কমিটি গঠনের নামে ‘ঝুনঝুনি’ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি প্রথমে নীতিমালা নির্ধারণ করবে, তারপর উপকারভোগীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং শেষে রেজিস্ট্রেশন হবে।

কিন্তু এখনও নিশ্চিত নয় যে, টাকা ট্রান্সফার কবে থেকে শুরু হবে। এই প্রসঙ্গে আতিশি মহিলাদের তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোবাইল নম্বর আপডেট করার পরামর্শ দেন যাতে তারা টাকা পাওয়ার তথ্য সম্পর্কে জানতে পারেন। আতিশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে দিল্লির মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ₹২৫০০ জমা হবে।

কী সেই দুটি শর্ত?

জানিয়ে রাখি, আগেই ঠিক করা হয়েছিল যে এই প্রকল্পের সুবিধা কেবলমাত্র গরিব পরিবারের মহিলারা পাবেন। তবে, ‘গরিব’ কে বলা হবে, তার সংজ্ঞা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল না। একইসঙ্গে, দ্বিতীয় শর্ত হল—এই প্রকল্পের সুবিধা একটি পরিবারের কেবলমাত্র একজন মহিলাই পাবেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকারভোগীদের সংখ্যা অনেকটাই কমতে পারে।

সিএম রেখা গুপ্তা কমিটি গঠন করলেন

জানিয়ে রাখি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা বলেছেন যে মহিলা দিবস উপলক্ষে আমাদের মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছিল, যেখানে ‘মহিলা সমৃদ্ধি যোজনা’ অনুমোদিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি, যার নেতৃত্ব আমিই (রেখা গুপ্তা) দেব এবং খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে।

O