কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ২৫ বছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয়বার যখন এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উভয় দল একে অপরের মুখোমুখি হবে।

প্রথম ম্যাচটি স্মরণীয় ছিল, যখন সৌরভ গাঙ্গুলির সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ভারতকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেই ম্যাচে, নিউজিল্যান্ডের ক্রিস কেয়ার্নস দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেখিয়ে ভারতের জয়ের স্বপ্ন চুরি করে নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে ক্রিস কেয়ার্নস কোথায়? ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং যার খেলার ধরণ সবসময় ক্রিকেট ভক্তদের মুগ্ধ করেছে, ক্রিস কেয়ার্নস আজ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। যখন তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, তখন তার পরবর্তী জীবন অনেক চ্যালেঞ্জে ভরা ছিল। অবসর গ্রহণের কয়েক বছর পর, তার বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে, যেখানে তার নাম আইপিএলের প্রথম চেয়ারম্যান ললিত মোদী নিয়েছিলেন। তবে, কেয়ার্নস এই অভিযোগগুলিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন এবং ২০১২ সালে মানহানির মামলায় জয়লাভ করে নিজের নির্দোষতা প্রমাণ করেন।

ট্রাক ওয়াশার হিসেবে কাজ করতেন। এরপর, ২০১৫ সালে দীর্ঘ বিচারের পর, ক্রিসকে সহকর্মী খেলোয়াড়দের করা মিথ্যা অভিযোগ থেকেও খালাস দেওয়া হয়। এই ঘটনার মাঝে, ক্রিস কেয়ার্নস একটি হীরার ব্যবসা শুরু করেছিলেন কিন্তু এই ব্যবসায়ও তাকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তাকে গাড়ি চালানো এবং ট্রাক ধোয়ার কাজ করতে হয়। ক্রিস কেয়ার্নসের স্বাস্থ্যও তাকে ছেড়ে চলে যায় এবং তার জীবনের ঝামেলা এখানেই শেষ হয়নি। তার স্বাস্থ্যও তাকে ছেড়ে চলে যায়। প্রথমে তার হার্টের অপারেশন হয় এবং তারপর তার কোলন ক্যান্সার হয়। এত কিছুর পর, কেয়ার্নস মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দেওয়াও কমিয়ে দেন। তবে, এই বছর তিনি কয়েকটি পোস্ট করেছেন, যার মধ্যে ২৯শে জানুয়ারী একটি পোস্টও রয়েছে, যেখানে তাকে হুইলচেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে একটি ছোট ছেলে জ্যাকের সাথে। জ্যাকের মেরুদণ্ডে স্ট্রোক হয়েছে, কিন্তু ক্রিস বলেছেন যে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। তার শেষ পোস্টটি ছিল ১৯ ফেব্রুয়ারি, যেখানে তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছিলেন। এই ছবিটি ২০০৬ সালের, যখন প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়েছিল। ক্রিস কেয়ার্নসের জীবনে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে, কিন্তু তিনি সবসময় সাহসের সাথে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন।