আমেরিকা থেকে নির্বাসিত অভিবাসীদের প্যানামার মুক্তি, ৩০ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ

আমেরিকা থেকে নির্বাসিত অভিবাসীদের প্যানামার মুক্তি, ৩০ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ

পানামায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা মামলাগুলি এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলির সমালোচনার পর অবশেষে আমেরিকা থেকে নির্বাসিত অভিবাসীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই অভিবাসীদের একটি দূরবর্তী শিবিরে রাখা হয়েছিল, যেখানে তাদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল।

পানামা সরকার তাদের ৩০ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনা আমেরিকা, পানামা এবং কোস্টারিকা মধ্যে স্বাক্ষরিত সেই চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত, যার অধীনে আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের এই দেশগুলোতে নির্বাসিত করা হচ্ছিল।

জানালায় বার্তা আটকালেন অভিবাসীরা
এই চুক্তির ফলে অভিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়, বিশেষ করে যখন পানামা সিটির একটি হোটেলে আটক শত শত অভিবাসী সাহায্যের আবেদন জানায়। তারা তাদের জানালায় বার্তা আটকে জানায় যে তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, যেকোনো ব্যক্তির নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু, যারা নিজ দেশে ফেরত যেতে অস্বীকার করছিলেন, তাদের পানামার সীমান্তের কাছে একটি প্রত্যন্ত শিবিরে পাঠানো হয়, যেখানে তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে অমানবিক পরিস্থিতিতে ছিলেন।

আইনি সহায়তাও পাননি
এই অভিবাসীদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, যার ফলে তারা আইনি সহায়তা নিতে পারেননি। এমনকি তাদের জানানোও হয়নি যে তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে। মানবাধিকার কর্মী এবং আইনজীবীদের মতে, পানামা ও কোস্টারিকা এখন “ব্ল্যাক হোল” এ পরিণত হচ্ছে, যেখানে নির্বাসিতরা না ন্যায়বিচার পাচ্ছেন, না কোনো সহায়তা।

ক্রমাগত বাড়তে থাকা সমালোচনার মুখে পানামার কর্তৃপক্ষ অবশেষে এই অভিবাসীদের মুক্তি দেয়, তবে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়নি। ফলে, এই অভিবাসীরা এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন, কারণ তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার বা আইনি সুরক্ষা পাওয়ার খুব সীমিত বিকল্প রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *