Japan-এ ভূমিকম্প: আজ ফিলিপাইন্সের পাশাপাশি জাপানের ভূ-পৃষ্ঠও ভূমিকম্পের কম্পনে কেঁপে ওঠে। আজ সকালে ২ বার তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার ফলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। ভূমিকম্পের কম্পন শুরু হতেই লোকজন তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।

সর্বশেষ ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১২ মিনিটে জাপানের সমুদ্রতট থেকে ৫২ কিলোমিটার (৩২ মাইল) দূরে কাগোশিমার নাজে এলাকা থেকে ৭৩ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) উত্তর-পূর্বে পূর্ব চীন সাগরের নিচে ঘটে।

এই ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৫.২ মাপা হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ৩৯ কিলোমিটার গভীরতায়। সাধারণত, অগভীর ভূমিকম্প গভীর ভূমিকম্পের তুলনায় বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। তাই এই ভূমিকম্পের কম্পন বেশ জোরালো অনুভূত হয়েছে, তবে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এছাড়া, এই ভূমিকম্পে কোনো প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে সরকার জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

১০ বছর ধরে প্রতি ২ মাস অন্তর ভূমিকম্প হচ্ছে

EarthquakeList.org-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের প্রায় ৬ ঘণ্টা আগে, রাত ১২টা ২৪ মিনিটেও ভূমিকম্প হয়েছিল, যার তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৫.৯ মাপা গিয়েছিল। এটি জাপানের মূল ভূখণ্ড থেকে ১৯ কিলোমিটার (১২ মাইল) পূর্বে ঘটে। ভূমিকম্প বিজ্ঞানীরা এই ভূমিকম্পকে আফটারশক (পরবর্তী কম্পন) হিসেবে বিবেচনা করছেন, তবে এর তীব্রতা বেশি থাকায় তারা সরকারকে আরও আফটারশকের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। তবে ৯৪% সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই ভূমিকম্পের পর কয়েকদিন বড় কোনো কম্পন হবে না।

নাজে এলাকায় গত ১০ বছর ধরে এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক দশকে, আজকের ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে ৫.২ বা তার বেশি মাত্রার ৪৯টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। গড়ে প্রতি ২ মাসে একবার ভূমিকম্প হয়। তবে আজকের ভূমিকম্প এতটা শক্তিশালী ছিল না যে এটি ধ্বংসাত্মক সুনামি সৃষ্টি করতে পারে। তবে যেহেতু এটি সমুদ্রের নিচে অগভীর গভীরতায় ঘটেছে, তাই জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।