রমজানের কারণে, বান্ধবী যৌন মিলনের অনুমতি দেয় না, তাই ছেলেটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল

উত্তর প্রদেশের কানপুরে এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা সকলকে হতবাক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ২২ বছর বয়সী এক যুবক, নজর আলী, তার বন্ধুর সাথে মিলে ১৩ বছর বয়সী এক নিষ্পাপ ছেলেকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আড়োল থানার অন্তর্গত মাকানপুর গ্রামে, যেখানে অভিযুক্তরা অপরাধ করার পর ছেলেটির মৃতদেহ একটি কূপে ফেলে দেয়। এই ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ যে, শোনার পর সবার হৃদয় কেঁপে ওঠে। পুলিশ এই মামলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু এই ঘটনাটি অনেক প্রশ্ন তুলেছে।
গল্পটি শুরু হয়েছিল বান্ধবীর অস্বীকৃতি দিয়ে
পুলিশি তদন্তে যা উঠে এসেছে তা আরও চাঞ্চল্যকর। অভিযুক্ত নজর আলী তার অপরাধ স্বীকার করে বলেছেন যে তার বান্ধবীর অস্বীকৃতির কারণে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে তার বান্ধবী শারীরিক সম্পর্ক করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তাছাড়া, তার বন্ধুর স্ত্রীও তার ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। নিজের লালসা মেটানোর জন্য, সে নিষ্পাপ ছেলেটিকে তার শিকারে পরিণত করেছিল। এটা শুনে সবাই অবাক যে একজন মানুষ এত নিচে কীভাবে নামতে পারে। এই কারণটি অদ্ভুত শোনালেও, একই সাথে ভীতিকরও।
একজন নিরীহ ব্যক্তির নৃশংস হত্যাকাণ্ড
এই ঘটনাটি ঘটে মাকানপুর গ্রামে যখন ১৩ বছর বয়সী ছেলেটি তার দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত ছিল। নজর আলী এবং তার বন্ধু প্রথমে তাকে ফাঁদে ফেলে এবং তারপর ধর্ষণ করে। এতে সে সন্তুষ্ট ছিল না, তাই সে ছেলেটিকে হত্যা করল। হত্যার পর, দুজনেই তাদের অপরাধ লুকানোর জন্য লাশটি একটি কূপে ফেলে দেয়। কিন্তু সত্য বেশিদিন লুকানো যায়নি। পুলিশ কূপের ভেতর থেকে মৃতদেহটি খুঁজে পায়, এবং তদন্ত শুরু হওয়ার পর পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই নিষ্পাপ শিশুর জীবন এত নিষ্ঠুরভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, এটা সকলের জন্য দুঃখজনক।
দ্রুত পুলিশি পদক্ষেপ
এই ঘটনার তথ্য পাওয়া মাত্রই পুলিশ তৎপর হয়। আড়োল থানার পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু করে এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত নজর আলীকে গ্রেপ্তার করে। তার বন্ধুর খোঁজ এখনও চলছে।