দুর্নীতির মামলায় লোকো পাইলট, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের পর এখন CBI অভিযুক্তদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে। CBI-এর দল শনিবার রেল মণ্ডলের কর্মকর্তাদের ও কর্মচারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তদন্ত চালায়।

ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

আট সদস্যের দল পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (PDUDU) নগরে অবস্থিত ভারতীয় স্টেট ব্যাংকে পৌঁছে তাদের বেতনের অ্যাকাউন্টগুলোর স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করে। তদন্তে উঠে আসে যে গ্রেপ্তারকৃত সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (অপারেশন) সুশান্ত পরাশর গত ছয় মাসে তার বেতনের অ্যাকাউন্ট থেকে এক টাকাও তোলেননি।

দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত নথি সংগ্রহ

সার্ভিস রেকর্ড তদন্ত করে দলটি খুঁজে দেখে যে কারা নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে এবং কারা মৃত কর্মচারীর কোটা থেকে নিয়োগ পেয়েছে। দুর্নীতির মামলার তদন্তে CBI গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেছে। রেল মণ্ডলের আরও অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী CBI-এর তদন্তের আওতায় আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রান্সফার ও পোস্টিং নিয়ে উত্তেজনা

CBI-এর অভিযানের পর রেল মণ্ডলে বড় পরিসরে কর্মকর্তাদের ট্রান্সফার ও পোস্টিং নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নতুন কর্মকর্তারা কবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তা নিয়েও নানা অনুমান করা হচ্ছে।

দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে

CBI-এর দল PDUDU রেল মণ্ডলের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের ও কর্মচারীদের তালিকা তৈরি করছে। তাদের সম্পত্তিরও তদন্ত করা হবে। বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের অ্যাকাউন্ট ও ব্যালেন্স পরীক্ষা করা হবে। কল ডিটেইল রেকর্ড (CDR) এবং ব্যাংক লেনদেন বিশ্লেষণ করে তাদের ঘনিষ্ঠদের তালিকাও প্রস্তুত করা হচ্ছে।

মামলার পটভূমি

গত মঙ্গলবার CBI-এর দল PDUDU রেল মণ্ডলের চিফ লোকো পাইলট ইন্সপেক্টর পরীক্ষার ঠিক আগে দুই শাখা প্রধান, ১৯ জন লোকো পাইলট, চারজন কর্মচারী ও একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ রয়েছে যে পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য লোকো পাইলটদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছিল।

গ্রেপ্তারকৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাড়ি ও অফিস থেকে ১.১৭ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (অপারেশন) সুশান্ত পরাশর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্বে ছিলেন এবং সিনিয়র ডিভিশনাল পার্সোনেল অফিসার সুরজিৎ কুমার পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।