স্কুল থেকে পালাতো দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু, এমন জায়গায় যেত যেখানে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সবাই হতভম্ব!

স্কুল থেকে পালাতো দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু, এমন জায়গায় যেত যেখানে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সবাই হতভম্ব!

শ্রীগঙ্গানগর, রাজস্থান থেকে চমকপ্রদ খবর

রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগর জেলার গজসিংহপুর থানা এলাকায় এক ৭ বছর বয়সী শিশু হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় পুলিশ প্রশাসনে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

তৎক্ষণাৎ পুরো জেলায় নাকা চেকিং শুরু করা হয় এবং পুলিশ দল শিশুটির সন্ধানে নেমে পড়ে। তবে, কয়েক ঘণ্টা পর যখন আসল সত্য সামনে আসে, প্রথমে সবাই হতবাক হয়ে যায়, পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।

৭ বছরের শিশু বোনের সঙ্গে বের হয়েছিল স্কুলের উদ্দেশ্যে

গ্রামের ৪৬ আরবি-র বাসিন্দা রামলাল নায়কের সাত বছরের ছেলে গৌতম প্রতিদিনের মতোই তার বোনের সঙ্গে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল। তার বোন স্কুলে পৌঁছে যায়, কিন্তু গৌতম মাঝপথেই কোথাও হারিয়ে যায়।

এই সময়, ব্রিজের পাশে দিয়ে যাচ্ছিলেন এক প্রবীণ ব্যক্তি, দিলবাগ সিং, যিনি লক্ষ্য করেন যে শিশুটি কোথাও দেখা যাচ্ছে না। সন্দেহ হতেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান যে সম্ভবত শিশুটিকে কেউ অপহরণ করেছে।

শ্রীগঙ্গানগর পুলিশের দ্রুত তৎপরতা

খবর পাওয়ার পরই গজসিংহপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শির কৌরের নেতৃত্বে পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুরো জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়, বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু হয় এবং যানবাহনের তল্লাশি চালানো হয়।

পুলিশ আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে যে, একটি ফুটেজে দু’জন যুবক মোটরসাইকেলে একটি শিশুকে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, সেই শিশু গৌতম নয়।

এরপর পুলিশ স্কুল এবং গৌতমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে যে গৌতম মাঝে মাঝে স্কুল এড়ানোর জন্য লুকিয়ে থাকত। পুলিশ তখন ব্রিজের পাশে থাকা খেতে তল্লাশি চালায় এবং সেখানে গৌতমকে লুকিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।

শ্রীগঙ্গানগরে আগেও ঘটেছে অপহরণের ঘটনা

শহরে এর আগেও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি, রামদেব কলোনিতে এক শিশুকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। তবে, পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে শিশুটিকে নিরাপদে উদ্ধার করে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে।

শ্রীগঙ্গানগর পুলিশের অভিভাবকদের প্রতি আবেদন

এই ঘটনার পর শ্রীগঙ্গানগর পুলিশ অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছেন, শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে এবং স্কুলে যাওয়া-আসার সময় সচেতন থাকতে হবে। যদি কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ চোখে পড়ে, তবে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানো উচিত, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়।

O

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *