কিং চার্লসের প্রতিটি বিষয়ে নজর রাখেন, কে এই ভারতীয় মুনা শামসুদ্দিন? যার প্রশংসায় মগ্ন বার্মিংহাম প্যালেস

কিং চার্লসের প্রতিটি বিষয়ে নজর রাখেন, কে এই ভারতীয় মুনা শামসুদ্দিন? যার প্রশংসায় মগ্ন বার্মিংহাম প্যালেস

কে হলেন মুনা শামসুদ্দিন?
ব্রিটেনের রাজপরিবারে এক ভারতীয় মুখ বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কেরল-সংশ্লিষ্ট মুনা শামসুদ্দিন সম্প্রতি কিং চার্লস তৃতীয়ের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

অগাস্ট ২০২৩-এ শামসুদ্দিনকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে তিনি লন্ডনের বিদেশ, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, শামসুদ্দিন এবং তাঁর সহকর্মীরা কিং চার্লসের সরকারি কার্যসূচি দেখভাল করেন। এমনকি তাঁর কাছ থেকে আশা করা হয় যে, তিনি রাজাকে বিদেশ সফরেও সঙ্গ দেবেন। ব্রিটেনের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি ব্রিটিশ কূটনৈতিক পরিষেবায় যোগ দেন।

লিংকডইন প্রোফাইল অনুযায়ী তাঁর কর্মজীবনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

  • জুন ২০০৮ – সেপ্টেম্বর ২০০৯: পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক দপ্তরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।
  • সেপ্টেম্বর ২০০৯ – মার্চ ২০১২: ব্রিটেনের বিদেশ ও কমনওয়েলথ দপ্তরে কূটনীতিক হিসেবে কাজ করেছেন।
  • এপ্রিল ২০১২ – এপ্রিল ২০১৩: ব্রিটিশ দূতাবাসে দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
  • এপ্রিল ২০১৩ – সেপ্টেম্বর ২০১৬: ব্রিটিশ কনস্যুলেট জেনারেলে রাজনৈতিক কনসাল ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।
  • অক্টোবর ২০১৬ – নভেম্বর ২০১৯: আবারও বিদেশ ও কমনওয়েলথ দপ্তরে কূটনীতিক হিসেবে নিযুক্ত হন।
  • নভেম্বর ২০১৯ – ডিসেম্বর ২০২১: ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনে ডেপুটি হেড অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
  • জানুয়ারি ২০২২ – জানুয়ারি ২০২৪: বিদেশ, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন দপ্তরে কূটনীতিক হিসেবে কাজ করেছেন।

পরিবারিক পটভূমি:

শামসুদ্দিনের পরিবার মূলত কেরলের কাসারগোডের বাসিন্দা। তাঁর বাবা, প্রয়াত ড. পুথ্যাপুরাইল শামসুদ্দিন, একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ছিলেন। তাঁর স্বামী ডেভিড জাতিসংঘের কর্মকর্তা। শামসুদ্দিনের শৈশব কাসারগোডেই কেটেছে এবং প্রায় ১০ বছর আগে তিনি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে এসেছিলেন। তাঁর আত্মীয়রা আশা করছেন, তিনি শীঘ্রই আবারও বাড়ি ফিরবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *