ভারতীয় সামরিক দল কিরগিজস্তানে যে সামরিক মহড়ার জন্য রওনা হয়েছিল, তা কী? ‘খাঞ্জার’?

ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিটি ক্ষেত্রেই ক্রমাগত তার শক্তি এবং দক্ষতা প্রমাণ করে চলেছে। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং কঠোর প্রশিক্ষণের কারণে এর যুদ্ধক্ষমতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন ভারতীয় সেনাবাহিনী কিরগিজস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ সামরিক মহড়া ‘খাঞ্জার’-এ অংশগ্রহণ করছে।
এই মহড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, পর্বত যুদ্ধ কৌশল এবং সমন্বিত সামরিক কৌশলের উপর আলোকপাত করা হয়। পারস্পরিক সহযোগিতা এবং কৌশলগত সক্ষমতা জোরদার করার লক্ষ্যে উভয় দেশের সেনাবাহিনী এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে। ভারত-কিরগিজস্তান প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে নতুন শক্তি প্রদান এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির দিকে ‘খাঞ্জার’ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ভারত-কিরগিজস্তান যৌথ বিশেষ বাহিনীর সামরিক মহড়া ‘খাঞ্জার’ ১০ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ কিরগিজস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। এটি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ‘খাঞ্জার’ মহড়ার দ্বাদশ সংস্করণ। এই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়াটি ২০১১ সালে শুরু হয়েছিল।
শেষ খঞ্জর মহড়াটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে, খাঞ্জার একটি বার্ষিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে, যা ভারত এবং কিরগিজস্তানে পর্যায়ক্রমে অনুশীলন করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে যে এই সামরিক মহড়া দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্কের অনন্য মাত্রা প্রতিফলিত করে। সর্বশেষ খঞ্জর মহড়া ভারতে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কিরগিজস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দিল ভারতীয় দল
রবিবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ভারতীয় দল এই গুরুত্বপূর্ণ মহড়ায় অংশগ্রহণের জন্য কিরগিজস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ভারতীয় দলটির প্রতিনিধিত্ব করেন প্যারাসুট রেজিমেন্টের (বিশেষ বাহিনী) সৈন্যরা। কিরগিজ সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে কিরগিজ স্করপিয়ন ব্রিগেড।
উদ্দেশ্য কী?
এই মহড়ার লক্ষ্য হলো শহর ও পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা। এখানে পরিচালিত অভিযানে উভয় দেশের বিশেষ বাহিনী তাদের অভিজ্ঞতা এবং সর্বোত্তম পদ্ধতি বিনিময় করবে। এই মহড়ায় স্নাইপিং এবং পর্বত নৈপুণ্যের দক্ষতা বিকাশের উপরও জোর দেওয়া হবে। কঠোর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, এই মহড়ায় দুই দেশের মধ্যে একটি প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক বিনিময়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ভারতীয় দলের সদস্যরা কিরগিজ উৎসব নওরোজও উদযাপন করবেন। এই আদান-প্রদান দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন আরও জোরদার করবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে যে এই মহড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবেলার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগ করে দেবে। এই মহড়া এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য ভারত এবং কিরগিজস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।