ক্রিকেটের উৎসবে সংঘর্ষ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, দোকানে অগ্নিসংযোগ, মসজিদ এলাকায় আতশবাজি ফাটানো নিয়ে হাঙ্গামা

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কাছে মহুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জয়ের উৎসব পালন করা মানুষের মিছিলে হঠাৎ পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই ঘটনার পর দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যায়।
বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ভারতীয় ক্রিকেট দলের জয়ের উদযাপন করছিলেন এমন ব্যক্তিদের ওপর একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোকজন পাথর নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের উপস্থিতিতেও পাথর নিক্ষেপ চলতে থাকে এবং কিছু লোককে অস্ত্রসহ দেখা যায়। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, ক্ষুব্ধ জনতা দোকান ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। দাঙ্গাকারীরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নিসংযোগকে আরও ভয়াবহ করে তোলে। এলাকায় ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। পাশাপাশি, পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়।
মসজিদ এলাকায় আতশবাজি ফাটানো নিয়ে সংঘর্ষ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাত আনুমানিক ১০:৩০ টার দিকে একটি মিছিল বের করা হয়। এই সময় জामा মসজিদ এলাকায় আতশবাজি ফাটানো নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং দুই পক্ষ মুখোমুখি চলে আসে। মানক চৌক, পাত্তি বাজার, মার্কেট চৌক, কানট রোড, গাফফার হোটেল পথ, সবজি মার্কেট এলাকাতেও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ফলে দুটি বাড়ি, চারটি দোকান এবং একটি ম্যাজিক যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংঘর্ষের পর দাঙ্গাকারীরা এক ডজনেরও বেশি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া, বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুরও করা হয়। এএসপি রূপেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিছু লোক একে অপরের দিকে পাথর নিক্ষেপ করছিল। টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়েছে। কতগুলো যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে, তা তদন্তের পর জানা যাবে।
ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন
ঘটনার পর পুরো এলাকায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে আর কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে। অতিরিক্ত এসপি রূপেশ দ্বিবেদী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে, তবে এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।