রবিবার রাতে ইন্দোরের কাছে মহো (এমপি) তে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের জয় উদযাপনের সময় দুটি দল মুখোমুখি হলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি জামে মসজিদের কাছে ঘটে যেখানে মিছিল বের করা লোকজন এবং অন্য একটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

শীঘ্রই সংঘর্ষ পাথর ছোঁড়ার দিকে রূপ নেয়, যার ফলে এলাকায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ভারতের বিজয় উদযাপনের জন্য বের হওয়া মিছিলটি যখন মসজিদের কাছে পৌঁছায়, তখন উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়, যা শীঘ্রই সহিংস রূপ নেয়। দুর্বৃত্তরা উদযাপনরত লোকজনের উপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে, যার ফলে অনেক মানুষ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই কিছু অসামাজিক ব্যক্তি যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে। খবর অনুযায়ী, দুটি গাড়ি এবং দুটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ইন্দোর গ্রামীণ এবং ইন্দোর শহর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে এবং এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনে। এছাড়াও, সেনা সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, মহো একটি সেনা সেনানিবাস এবং এখানে সর্বদা অনেক সেনা ইউনিট মোতায়েন থাকে, তাই এই এলাকায় আলাদাভাবে সেনাবাহিনী ডাকার প্রয়োজন নেই।

মহু পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে যে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন জনসাধারণকে গুজবে কান না দেওয়ার এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছে।

ইন্দোরের কালেক্টর আশীষ সিং পিটিআইকে জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এটি কীভাবে ঘটেছে তা পরে অনুসন্ধান করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

একই সাথে, স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন যে এই ঘটনার কারণে শহরের অনেক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের চূড়ান্ত জয় উদযাপনের জন্য একদল ক্রিকেটপ্রেমী একটি র‍্যালির আয়োজন করেছিলেন। তবে, তারা যখন জামা মসজিদ এলাকার কাছে পৌঁছায়, তখন এক বিশাল দল তাদের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে, যার ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং তারা তাদের মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এর পর কিছু লোক যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়, যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়।