প্রেমানন্দ মহারাজের ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী, বলে দিলেন কলিযুগে কী ঘটবে, শুনে শিউরে উঠবে আত্মা
প্রেমানন্দ জী মহারাজ (Premanand Ji Maharaj) কোনো পরিচয়ের মোহতাজ নন। দেশ থেকে বিদেশ পর্যন্ত বহু মানুষ বৃন্দাবনের এই বিখ্যাত সন্তের দর্শনের জন্য ছুটে আসেন। একই সঙ্গে, তিনি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়।
তিনি তাঁর सत्संगের (ধর্মীয় আলোচনার) মাধ্যমে মানুষকে সাংসারিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের জ্ঞান প্রদান করেন। প্রায়ই, তাঁর কাছে শ্রদ্ধালুদের বিভিন্ন সমস্যার প্রশ্ন আসে, যার উত্তর তিনি অত্যন্ত সহজভাবে দিয়ে থাকেন। এরই মাঝে, এক ভক্ত তাঁকে কলিযুগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এর উত্তরে প্রেমানন্দ মহারাজ এমন কিছু বললেন, যা শুনে সবাই হতবাক হয়ে গেল। এখন তাঁর সেই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে।
কেমন হবে কলিযুগ?
যখন প্রেমানন্দ মহারাজকে জিজ্ঞাসা করা হয়— “মহারাজ জী, কলিযুগ কেমন হবে? মানুষ কেমন হবে?”— তখন তাঁর উত্তর শুনে সবাই বিস্মিত হয়ে যায়। তিনি বলেন, “শ্রী শুকদেব জী বলেছেন, পরীক্ষিত, সময় খুবই শক্তিশালী। কলিযুগে যার কাছে টাকা থাকবে, তাকেই মহান বলে গণ্য করা হবে। মানুষ তাকেই বড় ব্যক্তি বলে মানবে। শুধু তাই নয়, তাকেই সম্মানিত ও আদর্শবান বলে বিবেচিত করা হবে, যার কাছে সম্পদ ও ক্ষমতা থাকবে। বাস্তবেও তো তাই ঘটছে!”
ভয়ঙ্কর হবে আগত সময়
তিনি আরও বলেন, “আগে মেয়ের কুন্ডলী (জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী জন্মপত্রিকা) দেখা হতো, ছেলের কুন্ডলী মিলিয়ে গুণ বিচার করা হতো। কিন্তু কলিযুগে এসব চলবে না। বিয়ের জন্য আর পরিবার, গুণ, চরিত্র বা সংস্কার বিচার করা হবে না। যুবক-যুবতী শুধু একে অপরকে পছন্দ করলেই হবে। পছন্দ হলে ঠিক, না হলে অন্য কাউকে বিয়ে করবে। এটা কতটা নোংরা ব্যাপার! আরও নোংরা হবে ভবিষ্যতে। ছেলে-মেয়েরা কেবল নিজেদের পছন্দেই বিয়ে করবে, গুণ বা কুন্ডলী মিলবে না, বংশপরিচয়েরও কোনো মূল্য থাকবে না।”
যত বেশি মিথ্যা, তত বড় প্রতারক
সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, “কলিযুগে কে সবচেয়ে চতুর বা বুদ্ধিমান বলে গণ্য হবে, জানেন? না? তাহলে শুনুন, যে যত বেশি মিথ্যা বলতে পারবে, যত বেশি প্রতারণা করতে পারবে, যত বেশি অসৎ পথে চলবে, তাকেই সবচেয়ে দক্ষ ব্যক্তি বলা হবে। মানুষ বলবে, ‘দেখুন, কত বড় প্রতিভাবান!’ যে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করতে পারবে, তাকেই বলা হবে কলিযুগের শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী।”
যত দুষ্ট, তত মহান
মহারাজ জী আরও বলেন, “মানুষের জীবনে সত্যতা ও সততা থাকবে না। যুগধর্মের প্রভাবে, যে যত বেশি প্রতারক, ধূর্ত, মিথ্যাবাদী হবে, তাকেই সবচেয়ে বিচক্ষণ বলে গণ্য করা হবে। যে যত বেশি প্রতারণা করতে পারবে, যত বেশি কপট হতে পারবে, তাকে তত বেশি চতুর বলে মনে করা হবে। নারী-পুরুষের মর্যাদা আর তাদের গুণ বা শালীনতার উপর নির্ভর করবে না, বরং তাদের দুষ্টতা ও দুর্নীতির উপর নির্ভর করবে। যার চরিত্র যত নিচু, যার স্বভাব যত নিকৃষ্ট, কলিযুগে সে-ই হবে সবচেয়ে মহান!”