এখানে মহিলারা তৃতীয় সন্তানের জন্য বিশেষ উপহার পাবেন, মেয়ের জন্য এফডি, ছেলের জন্য গরু ও বাছুর

আন্ধ্র প্রদেশে বিজেপির সহযোগী তেলেগু দেশম পার্টি (TDP)-এর সংসদ সদস্য কালিসেট্টি আপ্পলানায়ডু জানিয়েছেন যে রাজ্যের মানুষ যদি তৃতীয় সন্তান জন্ম দেয়, তাহলে তাদের বিশেষ উপহার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যদি তৃতীয় সন্তান হিসাবে মেয়ে জন্মায়, তাহলে মা-বাবাকে ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে। আর যদি ছেলে জন্মায়, তাহলে তাদের একটি গরু ও একটি বাছুর দেওয়া হবে। কালিসেট্টির এই ঘোষণার প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। এই বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী নাইডুর জনসংখ্যা বৃদ্ধির আহ্বানের অংশ হিসাবে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ঘোষণা করেছিলেন যে মহিলা কর্মীদের সন্তান সংখ্যা যাই হোক না কেন, তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে মহিলাদের যত সম্ভব বেশি সন্তান জন্ম দেওয়া উচিত। উল্লেখ্য, এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নাইডু বলেছিলেন যে সমস্ত মহিলা কর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হবে, তাদের যত সন্তানই থাকুক না কেন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে, নাইডু রাজ্যে মানুষের গড় বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে কমপক্ষে ২ বা তার বেশি সন্তান জন্ম দেওয়া উচিত। সরকার এমন আইন তৈরি করবে, যাতে শুধুমাত্র তাদেরই স্থানীয় নির্বাচন লড়ার অনুমতি দেওয়া হবে, যাদের দুটি বা তার বেশি সন্তান রয়েছে।
‘ইয়ুথ ইন ইন্ডিয়া ২০২২’ রিপোর্ট কী বলছে?
কেন্দ্রীয় ‘ইয়ুথ ইন ইন্ডিয়া-২০২২’ রিপোর্ট অনুসারে, ২০৩৬ সালের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৩৪.৫৫ কোটি যুবক থাকবে, যা বর্তমানে ৪৭% এর বেশি। বর্তমানে দেশে ২৫ কোটি যুবক ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছে। আগামী ১৫ বছরে এই সংখ্যা আরও দ্রুত কমবে। ইউনাইটেড নেশন পপুলেশন ফান্ড (UNFPA)-এর ‘ইন্ডিয়া এজিং রিপোর্ট ২০২৩’ অনুযায়ী, ২০১১ সালে ভারতে যুব জনসংখ্যার গড় বয়স ছিল ২৪ বছর, যা এখন বেড়ে ২৯ বছরে পৌঁছেছে। ২০৩৬ সালের মধ্যে দেশের বয়স্ক জনসংখ্যা হবে ১২.৫%, ২০৫০ সালের মধ্যে ১৯.৪%, আর শতকের শেষে তা ৩৬% হয়ে যাবে।
তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্টালিনের প্রতিক্রিয়া
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্টালিন বলেছেন যে লোকসভা আসনের পুনর্বিন্যাসের কারণে অনেক মানুষ ১৬ সন্তান জন্ম দেওয়ার তামিল প্রবাদে ফিরে যেতে পারেন। তবে যাই হোক, তামিলদের উচিত তাদের সন্তানদের তামিল নামই রাখা। স্টালিন চেন্নাইতে ৩১টি নবদম্পতির বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, অতীতে আমাদের প্রবীণরা নবদম্পতিদের ১৬ ধরনের সম্পত্তি দেওয়ার আশীর্বাদ করতেন, যার মধ্যে শিক্ষা, খ্যাতি, সম্পত্তি, বংশধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।