মার্ক কার্নি: ট্রুডোর জায়গায় কে হবে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী, ট্রাম্পের কড়া সমালোচক; ভারতের জন্য কেন সুখবর?

ব্যাংক অব কানাডা এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি (Mark Carney) কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
৫৯ বছর বয়সী কার্নি ৮৫.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
কে এই মার্ক কার্নি?
নর্থওয়েস্ট টেরিটরিজ, কানাডায় জন্মগ্রহণ করা মার্ক কার্নির (Canada New PM) শৈশব কেটেছে এডমন্টনে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৯৫ সালে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
২০০৮ সালে তিনি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১০ সালে বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত ম্যাগাজিন TIME তাকে বিশ্বের ২৫ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতার একজন হিসেবে উল্লেখ করে। এছাড়াও ২০১২ সালে Euromoney Magazine তাকে ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর অফ দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করে।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন
সম্প্রতি তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি Brookfield Asset Management-এ ট্রানজিশন ইনভেস্টিংয়ের পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার তাকে অর্থমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তবে তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
ট্রুডো বিদায়বার্তায় কী বললেন?
জাস্টিন ট্রুডো লিবারেল পার্টির নেতা পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ লিখেছেন,
“আমি লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে সেই একই আশা এবং কঠোর পরিশ্রম নিয়ে বিদায় নিচ্ছি, যেভাবে আমি শুরু করেছিলাম।”
তিনি আরও লেখেন, “এই পার্টি এবং দেশকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। লাখ লাখ কানাডীয় নাগরিক প্রতিদিন প্রমাণ করছেন যে, উন্নতির সুযোগ সবসময়ই থাকে।”
উল্লেখ্য, ট্রুডো জানুয়ারি মাসেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, পার্টিকে দেশের জন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে।
ট্রাম্পের নীতিগুলো পছন্দ করেন না কার্নি
প্রসঙ্গত, মার্ক কার্নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিগুলো বিশেষ পছন্দ করেন না। তবে তিনি কখনোই খোলাখুলিভাবে এ বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলেননি। ট্রাম্পের শাসনামলে কানাডার প্রতি তার কঠোর অবস্থানের কারণে এখন কার্নির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দেশের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা ও জনগণের আস্থা অর্জন করা।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির সম্ভাবনা
জাস্টিন ট্রুডোর শাসনামলে ভারত-কানাডা সম্পর্কের টানাপোড়েন তীব্র হয়েছিল। তবে মার্ক কার্নি এ সম্পর্ক উন্নত করতে পারেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক পুনরায় শক্তিশালী করা উচিত।
O