শনি মহাদশা কত বছর ধরে চলে, কীভাবে ন্যায়ের দেবতাকে প্রসন্ন করবেন

ন্যায়ের দেবতা শনিদেবের প্রিয় দিন হল শনিবার। এই দিনে ভক্তিপূর্ণভাবে শনিদেবের পূজা করা হয়। মনোবাসনা পূরণের জন্য অনেকে শনিবার উপবাসও পালন করেন।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শনিদেবের পূজা করলে জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হয়। এছাড়া, কর্মজীবন ও ব্যবসায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য লাভ করা যায়।
শনি মহাদশা কত বছর ধরে চলে?
জ্যোতিষীদের মতে, শনির ঢাইয়া আড়াই বছর স্থায়ী হয়। শনির সাড়ে সাতি সাড়ে সাত বছর ধরে চলে। তবে, শনির মহাদশা প্রায় ১৯ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে শুভ ও অশুভ গ্রহগুলোর অন্তর্দশা এবং प्रत्यंतर दशা (উপপর্যায়) চলে।
শনিদেব সর্বদা কর্মফলের ভিত্তিতে ফল প্রদান করেন। যারা সৎ কর্ম করেন, তিনি তাদের দ্রুত সফলতা দেন এবং উচ্চস্থানে পৌঁছে দেন। অন্যদিকে, যারা খারাপ কাজ করেন, তারা দণ্ডিত হন। এজন্যই শনিদেবকে কর্মফল দাতা বলা হয়।
কীভাবে শনিদেবকে প্রসন্ন করবেন?
🔹 শনিদেবের আরাধ্য দেবতা হলেন মহাদেব ও ভগবান কৃষ্ণ। তাই শনি মহাদশার সময় মহাদেব বা কৃষ্ণের পূজা করা উচিত।
🔹 শনিদেবকে খুশি করার জন্য সোমবার ও শনিবারে কালে তিল মিশ্রিত গঙ্গাজল দিয়ে মহাদেবের অভিষেক করুন।
🔹 প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার হনুমানজির পূজা করুন। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় হনুমান চালিসা পাঠ করুন। এই পদ্ধতি শনিদেবকে প্রসন্ন করে।
🔹 শনির মহাদশায় প্রতি শনিবার স্নান-ধ্যানের পর পিপল গাছকে জল অর্ঘ্য দিন। পাশাপাশি গাছের পরিক্রমা করুন এবং শনিদেবের উদ্দেশ্যে সরষের তেল নিবেদন করুন।
🔹 শনিদেবকে খুশি করতে শনিবার কালে তিল, উড়দ ডাল, ছাতা, কম্বল, চামড়ার জুতা ও স্যান্ডেল দান করুন। এই উপায়গুলোর মাধ্যমে শনিদেবের কৃপা লাভ হয়।
দায়িত্ব অস্বীকার:
এই প্রতিবেদনে উল্লিখিত উপায়/লাভ/পরামর্শ ও তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। দৈনিক জাগরণ ও জাগরণ নিউ মিডিয়া এই তথ্যের সত্যতা বা কার্যকারিতা সমর্থন করে না। এই তথ্য বিভিন্ন জ্যোতিষ শাস্ত্র, পঞ্চাং, ধর্মগ্রন্থ ও লোককথা থেকে সংগৃহীত। পাঠকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে এই প্রতিবেদনকে চূড়ান্ত সত্য বলে বিবেচনা না করে নিজের বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করুন। দৈনিক জাগরণ ও জাগরণ নিউ মিডিয়া কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।