সিরিয়ায় দুই দিনে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু! সাধারণ নাগরিকরাও অশান্তির আগুনের শিকার হচ্ছেন

সিরিয়ায় দুই দিনে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু! সাধারণ নাগরিকরাও অশান্তির আগুনের শিকার হচ্ছেন

যুদ্ধক্ষেত্র এখন সিরিয়া। প্রেসিডেন্ট আসাদের সমর্থক এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দিনের সংঘর্ষে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ৮ ডিসেম্বর, বাশার আল-আসাদের সরকার পতন হয়েছে।

তবুও, অশান্তির আগুন এখনো জ্বলছে। এটি আবারও চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে।

আসাদ পরিবার এই পশ্চিম এশীয় দেশটিতে ৫০ বছর ধরে ক্ষমতার লাগাম ধরে রেখেছিল। বাশার আল-আসাদ ২০০০ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হন। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে শুরু করে। আরব বসন্তের হাওয়ায় মরুভূমি উত্তাল হয়ে ওঠে। “স্বৈরাচারী শাসন শেষ করো, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনো”—এই স্লোগানে আকাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।

বিদ্রোহী জোট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (SDF) আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুদ্ধে নেমেছে। কুর্দ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটস (YPG)-এর নেতৃত্বে এক আসাম যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমেরিকা বিদ্রোহীদের যুদ্ধে সহায়তা দিতে শুরু করে। পাশাপাশি, ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এবং রাশিয়াও আসাদের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয়। সেই থেকে সিরিয়া রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের জালে আটকে আছে। যদিও অন্যতম প্রধান শহর আলেপ্পো যুদ্ধের শুরুতেই হারিয়ে গিয়েছিল, ২০১৬ সালে আসাদের বাহিনী এটি পুনরুদ্ধার করে। তবে বিদ্রোহীরা পাল্টা আক্রমণ চালায়। অবশেষে, ৮ ডিসেম্বর, আসাদের সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।

কিন্তু আসাদের অনুপস্থিতিতেও তার অনুগামীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষও এই সহিংসতার শিকার হচ্ছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত ৭৪৫ জন সাধারণ সিরিয়ান নাগরিক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, নতুন প্রশাসনের ১২৫ জন সরকারি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন। পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ১৪৮ জন আসাদ-সমর্থকও নিহত হয়েছে। রাস্তায় মৃতদেহের স্তূপ পড়ে আছে। কোথাও জলর সরবরাহ নেই, কোথাও বিদ্যুৎ নেই। বেশিরভাগ মানুষ ঘরের মধ্যে লুকিয়ে আছে। সশস্ত্র বন্দুকধারীরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে বাড়িঘরের ওপর গুলি চালাচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

O

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *