চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের উদযাপনে ইন্দোরে সংঘর্ষ, মসজিদের সামনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা; বহু দোকানে অগ্নিসংযোগ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের উদযাপনে ইন্দোরে সংঘর্ষ, মসজিদের সামনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা; বহু দোকানে অগ্নিসংযোগ

রবিবার রাতে দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত বিজয়ী হয়েছে। ভারতের জয়ের পর ইন্দোরের মহু এলাকায় কিছু যুবক এই বিজয় উদযাপন করছিল। উদযাপনের সময়, যখন বিজয় মিছিল মহুর জামা মসজিদের কাছে পৌঁছায়, তখন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বেধে যায়।

এই ঘটনার ফলে অনেক লোক আহত হয়েছে। পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের পর মহু এলাকায় পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং গোটা এলাকাকে সামরিক ছাউনিতে পরিণত করা হয়েছে।

কীভাবে ঘটল সংঘর্ষ?

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর, ইন্দোরের মহু অঞ্চলে কিছু ক্রিকেটপ্রেমী বিজয় মিছিল বের করেছিল। সেই মিছিল যখন মহুর জামা মসজিদের কাছে পৌঁছায়, তখন মসজিদের ভেতরে লোকজন নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় কোনো একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়, যা দ্রুত বড় আকার নেয় এবং পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়ে যায়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কিছু লোক আহত হয়েছে। পাশাপাশি, অনেক দোকান ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, এলাকায় উত্তেজনা রয়ে গেছে।

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

মহুতে সংঘটিত এই সহিংসতা সম্পর্কে ইন্দোরের কালেক্টর আশীষ সিং জানিয়েছেন যে, পাথর নিক্ষেপের পর পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যখন কালেক্টরের কাছে এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়, তিনি জানান যে পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন, তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, উদযাপনের সময় দুই পক্ষের মধ্যে কোনো এক বিষয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যার ফলে পরে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

পুলিশের বক্তব্য

এই ঘটনার বিষয়ে ইন্দোর পুলিশের ডিআইজি নিমিশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, কিছু যুবক ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের আনন্দ উদযাপন করছিল। এসময় একটি মিছিলও বের করা হয়েছিল। মিছিল চলাকালীন, কোনো এক বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্ক হয়, যা পরে সহিংসতায় রূপ নেয় এবং পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

O

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *