বিয়ের রাতে, স্ত্রীর ফোনে একটি মেসেজ দেখে বর রেগে গেল, কনেকে রেখে একা বাড়ি ফিরে এল!

বিয়ের রাতেই নতুন বাড়িটি ভেঙে পড়ে। বর কনের উপর রেগে গেল, বিয়ের রাতেই চলে গেল এবং থানায় গেল। সেখান থেকে সোজা বাড়ি চলে গেলাম। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের একটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরের বাড়ি বীরভূম জেলায়। বৃহস্পতিবার রাতে বহরমপুরের এক মেয়ের সাথে তার বিয়ে হয়।
সাতটি রাউন্ড করার পর, নবদম্পতি শুক্রবার ভোর ৪.৩০ টার দিকে বিয়ের রাতের ঘরে যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। বর নববধূকে না নিয়েই বাড়ি চলে গেল। বরের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের ঘরে কনেকে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত দেখে বর ‘রাগ’ হারিয়ে ফেলেন। তিনি কনেকে ফোন রেখে তার সাথে কথা বলতে বললেন। কিন্তু স্ত্রী তার কথায় মনোযোগ দিলেন না। তারপর বর তার স্ত্রীর হাত থেকে ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। স্ত্রীর মোবাইলে একটি বার্তা পড়ার পর তিনি আরও রেগে যান। বিয়ের প্রথম রাতেই এই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
নবদম্পতির চিৎকার ও চিৎকার শুনে উভয় পরিবারের সদস্যরা হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের কেউই আত্মীয়দের কথা শোনেনি।
বর বাড়ি যাওয়ার আগে থানায় গিয়েছিল। কনেও সেখানে পৌঁছে গেল। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কনের দাবি, তার মোবাইলে একটি মেসেজ দেখার পর বর তাকে সন্দেহ করে। তিনি বলেন যে তিনি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন যে, বিয়ের রাত থেকেই যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর উপর এত রাগান্বিত এবং সন্দেহজনক হয়ে পড়েছে, তার সাথে ঘর চালানো আসাম্ভব।
তবে বর বাইরে কিছু বলতে রাজি হননি। বার্তায় কী লেখা ছিল তাও অজানা। বরের এক বন্ধুর মতে, “একটি বার্তা তার বাড়ি তৈরি হওয়ার আগেই ভেঙে ফেলে।” তিনি বলেন, সারা রাত ধরে উভয় পরিবার ঝগড়া করেছে। পুলিশও আপোষের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। নববিবাহিত যুবকটি তার স্ত্রীকে তার বাবা-মায়ের বাড়িতে রেখে একা বাড়িতে ফিরে এসেছে।