চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচ। টস নিউজিল্যান্ডের পক্ষে গেল এবং কিউই দল প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিল। আট ওভারও সম্পূর্ণ হয়নি, ততক্ষণে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ৫০-এর বেশি রান তুলে ফেলেছে।

রচিন রবীন্দ্র যেন ড্রেসিং রুম থেকেই সেট হয়ে মাঠে নেমেছিলেন, চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরাচ্ছিলেন। উইল ইয়াং অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করছিলেন। খেতাবি লড়াইয়ে কিউই দল দাপটে এগিয়ে, আর রোহিতের সেনা ছিল ব্যাকফুটে। অষ্টম ওভারে বরুণ ইয়াং-এর ইনিংসের সমাপ্তি ঘটালেও রচিন থামার নাম নিচ্ছিলেন না। ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছিল নিউজিল্যান্ড।

তখনই অধিনায়ক রোহিত বুদ্ধি খাটিয়ে এমন এক চাল চাললেন, যাতে কিউই দল পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে গেল। মাত্র দুই ওভারের মধ্যেই নিউজিল্যান্ড শীর্ষ থেকে নিচে নেমে গেল। রোহিতের নিখুঁত অস্ত্র ফাইনালের পুরো চিত্রটাই বদলে দিল।

দুই ওভারেই বদলে গেল ফাইনালের মোড়

রচিনের ধ্বংসযজ্ঞ থামানোর জন্য অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১১তম ওভার বল করার দায়িত্ব দিলেন কুলদীপ যাদবের হাতে। কুলদীপ এসেই নিজের জাদু দেখালেন। ওভারের প্রথম বলই ম্যাজিকাল হয়ে উঠল। ২৯ বলে ৩৭ রান করে সেট হয়ে থাকা রচিন এক মুহূর্তেও বুঝতে পারলেন না বল কোথায় গেল, আর সরাসরি স্টাম্প ভেঙে দিল! কিউই ব্যাটসম্যানের প্রতিক্রিয়া দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, এই ডেলিভারিটি তার কল্পনারও বাইরে ছিল।

রোহিতের নিখুঁত অস্ত্র হয়ে উঠল আশীর্বাদ

রচিনের উইকেট যেন ভারতীয় দলকে নতুন প্রাণশক্তি দিল। স্টেডিয়ামে গর্জে উঠল “টিম ইন্ডিয়া”র জয়ধ্বনি। এরপর কুলদীপ আবার তার পরের ওভার নিয়ে এলেন। এবার ক্রিজে ছিলেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, যিনি চোখ সেট করার চেষ্টা করছিলেন। কুলদীপের হাত থেকে বের হওয়া ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি উইলিয়ামসন, ব্যাটের ভেতরের অংশে লেগে বল সরাসরি কুলদীপের হাতেই জমা পড়ল। কুলদীপ ও পুরো ভারতীয় দলের উদযাপনই প্রমাণ করছিল, উইলিয়ামসনের উইকেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

মাত্র দুই ওভারে এই দুই বড় উইকেট নিউজিল্যান্ডকে এতটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় যে তারা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। উইলিয়ামসনের আউট হওয়ার পর যে চাপ তৈরি হয়েছিল, ভারতীয় বোলাররা তা পুরো ইনিংসজুড়েই ধরে রাখতে পেরেছে। এর ফলেই নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভার খেলেও সবরকম চেষ্টা করেও মাত্র ২৫১ রানেই থেমে যায়।

O

Search