ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে বার্ড ফ্লুতে মুরগির মৃত্যুর নিশ্চিত হওয়ার পর পশুপালন বিভাগ পুরো রাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে। জেলা প্রশাসন সংক্রমিত এলাকার ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে মুরগি এবং সমস্ত ধরনের পোল্ট্রি পণ্যের বিক্রির উপর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

পশুপালন বিভাগ নির্দেশ দিয়েছে যে, যদি অস্বাভাবিকভাবে পাখির মৃত্যু ঘটে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে রাজ্য সদর দপ্তরে জানাতে হবে। অন্য রাজ্য থেকে আসা পোল্ট্রি পণ্য এবং পরিযায়ী পাখিদের উপর নজরদারির জন্য সমস্ত জেলার পশুপালন কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

জানা গেছে, বোকারোতে অবস্থিত রাজ্য পরিচালিত কুক্কুট খামারে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে মুরগির মৃত্যু ঘটছিল। তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য ভোপালে অবস্থিত জাতীয় উচ্চ নিরাপত্তা প্রাণী রোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার প্রকাশিত পরীক্ষার প্রতিবেদনে বার্ড ফ্লুর উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। এই তথ্য পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্য সরকারকে পরিস্থিতির উপর নজর রেখে সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।

র‍্যাপিড রেসপন্স ও কুইক রেসপন্স টিম গঠন

বোকারোর জেলা প্রশাসক বিজয়া জাধবের নির্দেশে র‍্যাপিড রেসপন্স টিম ও কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। র‍্যাপিড রেসপন্স টিম রবিবার ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ট্রি ফার্ম পরিদর্শন করে এবং বার্ড ফ্লুর বিস্তার রোধে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে। বোকারোর জেলা পশুপালন কর্মকর্তা ডা. মনোজ মণি রবিবার জানিয়েছেন যে সংক্রমিত অঞ্চলে মুরগি নিধন এবং তাদের সঠিকভাবে নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ডা. মনোজ মণি জানিয়েছেন, খামারে ব্যবহৃত সেই সমস্ত পাত্র, যেখানে পাখিদের খাবার পরিবেশন করা হতো এবং যে প্ল্যাটফর্মে তারা বসত, তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এক মাস আগে রাঁচির বিরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত ভেটেরিনারি কলেজের পোল্ট্রি ফার্মে বার্ড ফ্লুতে চাইনিজ জাতের গিনি ফাউল পাখির মৃত্যু হয়েছিল।