ভাত দিয়ে কি বাংলাকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে? ৩ লক্ষ মেট্রিক টন ধানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানাল কেন্দ্র

ভাত দিয়ে কি বাংলাকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে? ৩ লক্ষ মেট্রিক টন ধানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানাল কেন্দ্র

রাজ্য বলছে তাদের ২.৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্রয়োজন। কেন্দ্র বলছে যে তারা ২৫ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি সরবরাহ করবে না। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বাংলার জনগণের প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের এক ভাগও দিতে মোদী সরকার প্রস্তুত নয়।

কেন্দ্র কি এবার ভাত দিয়ে বাংলাকে মুগ্ধ করার পরিকল্পনা করছে? মোদী সরকারের সাম্প্রতিক অবস্থানের বিরুদ্ধে তৃণমূল এই অভিযোগ করছে।

কেন্দ্রের উপর টাকা চাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ কেন্দ্রকে দুটি চিঠি লিখেছেন। কিন্তু মোদী সরকার কোনও উত্তর দিচ্ছে না।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজ্যে কোনও জাল রেশন কার্ড নেই। পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৮.৫৩ মিলিয়ন শিশুর আঙুলের ছাপ এখনও নেওয়া না হওয়ায় ই-কেওয়াইসি মুলতুবি রয়েছে। কিন্তু কোনও রেশন কার্ডই জাল বা নকল নয়। মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গে ৪.২৩ শতাংশ ডুপ্লিকেট কার্ডের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সঠিক নয়।

পশ্চিমবঙ্গ একটি বিকেন্দ্রীভূত ক্রয় বা ডিসিপি রাজ্য। অর্থাৎ, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে রাজ্য গ্রাহকদের কাছ থেকে শস্য ক্রয় করে। পরে কেন্দ্র ভাতুরিকে টাকা দেয়। এই খাতে কেবল ৪,০০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা আটকে নেই, বরং কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য রাজ্য কর্তৃক কেনা ২৮ লক্ষ মেট্রিক টন চালের মধ্যে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন চালের দায়িত্ব নিতেও মোদী সরকার প্রস্তুত নয়। ২৮শে ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে রাজ্যগুলির সাথে খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গকে এটি জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া রাজ্যের খাদ্য সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকীকে জানিয়েছেন যে ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওটাই সব হবে। ফলস্বরূপ, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যকে মারধরের অভিযোগ আনা হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *