মানুষের খুলির মালা পরে মুখ দিয়ে সাপ চিবাচ্ছে ভূত আর ভ্যাম্পায়াররা, কাশীতে মৃতদেহের চিতার মাঝে ভূতের বেলেল্লাপনা দেখে অবাক বিশ্ব

বারাণসীর হরিশচন্দ্র ঘাটে শিবভক্তদের সমাগম। ডিজে-ঢোল এবং ডমরুর তালে মন্ত্রমুগ্ধ অবস্থায় মহাদেবের ভক্তরা তাণ্ডব পরিবেশন করছেন। সর্বত্র চিতা থেকে ধোঁয়া উঠছে আর অন্যদিকে চিতার ছাই দিয়ে হোলি খেলা হচ্ছে।

এত ভিড় যে পা রাখারও জায়গা নেই। শিবভক্তরা ২ কিলোমিটার দূরে হরিশচন্দ্র ঘাটে যাচ্ছেন, তাণ্ডব করছেন। শ্মশানে জ্বলন্ত চিতার মাঝে ২৫০০ কেজি চিতার ছাই দিয়ে হোলি খেলা হবে।

৫ লক্ষ পর্যটক কাশীতে পৌঁছেছেন

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে বেনারসের এই হোলি দেখতে ২০টি দেশের প্রায় ৫ লক্ষ পর্যটক কাশীতে পৌঁছেছেন। এবার মহিলারা এর অংশ হবেন না। আগামীকাল মণিকর্ণিকা ঘাটে চিতার ভস্মের হোলি খেলা হবে। ৫১০০টি চিতা থেকে ছাই সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার বিপুল সংখ্যক নাগা সাধুও অংশগ্রহণ করবেন। ক্রমবর্ধমান ভিড় এবং বিশৃঙ্খলার কারণে, মহিলারা নৌকা থেকে মহাশ্মশানে হোলি দেখবেন।

আমরা কেন চিতার ছাই দিয়ে হোলি খেলি?

কথিত আছে যে, রংভরী একাদশীতে ভগবান শিব মাতা পার্বতীর গৌণ অনুষ্ঠান করেছিলেন। মা যখন কাশীতে এসেছিলেন, তখন তিনি তাঁর অনুসারীদের সাথে রঙ এবং গুলাল দিয়ে হোলি খেলেছিলেন কিন্তু শ্মশানে বসবাসকারী ভূত, আত্মা এবং নপুংসকদের সাথে হোলি খেলা হয়নি। এই কারণে, রংভরী একাদশীর একদিন পর, মহাদেব শ্মশানে বসবাসকারী অনেক ভূতের সাথে হোলি খেলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *