বিরোধী নেতাদের ফ্রেশার কোর্স করা উচিত, সংসদে হাঙ্গামার মধ্যে জেপি নাড্ডার তীব্র আক্রমণ— কী বললেন?

আজ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় ব্যাপক হাঙ্গামা হয়। কংগ্রেসসহ সমস্ত বিরোধী দল সংসদের কার্যকলাপ চলাকালীন প্রবল প্রতিবাদ করে।
এই সময় বিরোধীদের আচরণ নিয়ে সংসদ নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নড্ডা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিরোধী দলনেতাসহ সমস্ত বিরোধী সদস্যদের জন্য একটি রিফ্রেশার কোর্সের ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে তারা সংসদের নিয়মকানুন সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি আরও বলেন, সরকার যেকোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। নড্ডা বলেন, “আমি তাদের ওয়াকআউটের নিন্দা করছি এবং এটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বলে মনে করি।”
আসলে, কংগ্রেসসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ম ২৬৭-এর আওতায় সংসদে আলোচনা চাইছিল। অনুমতি না পেয়ে বিরোধী সদস্যরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন।
জেপি নড্ডা বলেন, “কয়েক দিন ধরে আমরা দেখছি, সংসদে কিছু সদস্য সকাল সকাল নিয়ম ২৬৭-এর আওতায় নোটিস দিচ্ছেন।” তিনি জানান, নিয়ম ২৬৭-এর ভিত্তিতে একবার নয়, বহুবার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ২০২২ এবং ১৯ ডিসেম্বর ২০২২-এ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
নড্ডা রাজ্যসভায় সভাপতিমণ্ডলীর উপসভাপতি হরিবংশকে বলেন, “আপনি এই সিদ্ধান্তের আওতায় বিরোধীদের উত্থাপিত বিষয়গুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এটি স্পষ্ট যে বিরোধী পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তারা সংসদের গৌরবহানি করতে চাইছে। বিরোধীরা আলোচনায় আগ্রহী নয়, কিন্তু তারা এই বার্তা দিতে চায় যে সরকার জবাব দিতে চায় না বা আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে।”
নড্ডা বলেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার সব বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত, তবে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও আইন মেনে বিতর্ক হওয়া উচিত।”
আসলে, এর আগে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তার বক্তব্য রাখতে দাঁড়ান। কিন্তু তিনি নির্ধারিত বিষয়ের বাইরে অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন।
উপসভাপতি তাকে ওই বিষয়ে কথা বলার অনুমতি দেননি। এরপর সংসদে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়, বিরোধী সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিরোধীরা ভোটার তালিকার বিষয়টি উত্থাপন করতে চেয়েছিলেন, তবে উপসভাপতি তাদের অনুমতি দেননি। অনুমতি না পেয়ে বিরোধী দল সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে।
জেপি নড্ডা বিরোধীদের ওয়াকআউটের নিন্দা করে একে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বলে অভিহিত করেন।
O