দিল্লি-এনসিআর থেকে শুরু করে সমগ্র উত্তর ভারতে তাপমাত্রার বৃদ্ধির হার কমবে। আজ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং কেরালা থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মৌসম বিভাগ দুটি ঘূর্ণাবর্ত (সাইক্লোনিক সার্কুলেশন) সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করেছে। বিভাগের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, প্রথম ঘূর্ণাবর্ত, যা ইরাকে উৎপন্ন হয়েছিল, ধীরে ধীরে ভারতের উত্তর পার্বত্য রাজ্যগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা উত্তর ভারতে বৃষ্টি আনবে। অন্যদিকে, দ্বিতীয়টি বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে, যার ফলে আগামী ৫ দিন পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে।

গুজরাটে তাপপ্রবাহের সতর্কতা
মৌসম বিভাগ গুজরাটে তাপপ্রবাহের (হিটওয়েভ) সতর্কতা জারি করেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ গুজরাটে প্রচণ্ড গরম পড়তে পারে। অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডির মতে, ১১, ১২ ও ১৩ মার্চ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে, এবং ১০ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত চরম গরম পড়তে পারে।

১৫ মার্চ পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা
মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, দুটি ঘূর্ণাবর্তের কারণে ১৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৫ মার্চ জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের আবহাওয়া খারাপ হতে পারে। এখানে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বজ্রপাত ও প্রবল বৃষ্টি এবং ভারী তুষারপাত হতে পারে। এদিকে, আইএমডি জানিয়েছে যে, ধূলিঝড় এবং বজ্রপাতসহ ঝোড়ো হাওয়ার কারণে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার আশেপাশের এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে, ১২ ও ১৩ মার্চ পাঞ্জাব ও হরিয়ানা এবং ১৩ থেকে ১৫ মার্চ রাজস্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি
মৌসম বিভাগ জানিয়েছে যে, বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাবে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, ১১ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি
মৌসম বিভাগ দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ তামিলনাড়ুর ৪টি দক্ষিণী জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকার জানিয়েছে, যদি বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়, তবে রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।