কেন কেবল মুসলিমরা ছাগল বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে? বকরিদের আগে পাকিস্তানে ব্যাপক হট্টগোল হয়েছিল

বর্তমানে, এটি একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি চরমে এবং কালোবাজারি সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে, যেখানে সাধারণ মানুষের জন্য সেহরি ও ইফতারির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা কঠিন হয়ে উঠছে, সেখানে এখন ছাগল চুরির ঘটনাও মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।
দেশের অনেক জায়গা থেকে ছাগল চুরির ঘটনা ঘটছে, যার কারণে মানুষ অত্যন্ত চিন্তিত। ২০২৫ সালের পাকিস্তানের রমজান: মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে। রমজান মাসে মাংসের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যার কারণে ছাগলের দামও আকাশছোঁয়া। লাহোর, করাচি এবং পেশোয়ারের মতো বড় শহরগুলিতে ছাগল চুরির ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন চোরেরা কেবল রাতের অন্ধকারেই নয়, প্রকাশ্য দিবালোকেও ছাগল চুরি করছে।
পরিস্থিতি এমন হয়ে উঠেছে যে, ছাগল রক্ষার জন্য মানুষকে সতর্কতা বাড়াতে হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির এই যুগে সাধারণ মানুষের পক্ষে ছাগল কেনা ইতিমধ্যেই কঠিন হয়ে পড়েছে এবং এখন চুরির ঘটনা তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ছাগল রক্ষার দাবি: পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে মানুষ পুলিশ এবং সরকারের কাছে ছাগল রক্ষার দাবি জানাচ্ছে। অনেকেই সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, ছাগলদের জন্যও সেই একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হোক।
মানুষ বলে যে মুদ্রাস্ফীতির এই যুগে ছাগল চুরির কারণে পরিবারগুলি বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। একবার ছাগল চুরি হয়ে গেলে, একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে তা আবার কেনা সম্ভব হয় না। জনগণের ক্ষোভ এতটাই বেড়ে গেছে যে তারা সরকার এবং পুলিশের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। রমজান মাসে ছাগলের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে, চোরেরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং মানুষ চুরির ঘটনায় ভীত। এখন দেখার বিষয় হলো সরকার এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয় এবং জনগণের এই উদ্বেগ কীভাবে সমাধান করে।