কিভাবে বের করলেন জৌলুস, মুসলিম এলাকায় কেন ঢুকলেন? ভারতের জয়ে মহুতে আগুন লাগিয়ে মৌলানা বলল – এখানে আসবে তো বাঁচবে না

ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল জিতে নিয়েছে। সারা দেশে ভারতের জয়ের উল্লাস পালিত হচ্ছে, কিন্তু মধ্যপ্রদেশের মহুতে এই উদযাপন মানুষের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠল।
আসলে, দাঙ্গাকারীরা সারারাত এমন তাণ্ডব চালিয়েছে যে এলাকায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার পর এক মহু মসজিদের ইমাম বেপরোয়া হয়ে গিয়েছেন।
মুসলিম এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ
ইমামের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তিনি যুক্তি দিচ্ছেন— এই জুলুস কিভাবে বের হলো? এই রুটে তারা কেন এলো? মৌলানা আরও বলেন, তাদের অনুমতি কে দিয়েছিল বাইক র্যালি বের করার? আমরা রাত ১০টায় নামাজ পড়ছিলাম, তখনই এরা ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে শুরু করে। সুতলি বোমা ছোড়ে, যা মসজিদের ভেতরে চলে যায়। এর ফলে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
জানুন, কী ঘটেছিল
ঘটনাটি রবিবার রাত ১০টার দিকে ঘটে। ভারতের জয়ের পর ১০০-র বেশি যুবক বাইকে চড়ে বিজয় মিছিল বের করছিল। এই সময় তারা ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিচ্ছিল। জामा মসজিদের কাছে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন পিছন থেকে কয়েকজনকে ধরে মারধর করতে থাকে। সামনের দিক থেকে কিছু লোক পাথর ছোড়া শুরু করে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘর ও দোকানের সামনে রাখা গাড়িগুলোতে ভাঙচুর চালানো হয়।
১২-র বেশি বাইকে আগুন লাগানো হয়
এই সংঘর্ষে ৫-৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে চারটি থানার পুলিশ বাহিনী মহুতে মোতায়েন করা হয়। ডিআইজি নিমিষ আগরওয়াল রাত দেড়টার সময় মহুতে পৌঁছে শহরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। দাঙ্গাকারীরা ১২-র বেশি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। ৩০০-র বেশি পুলিশ অফিসার ও কর্মী ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েন করতে হয়েছে।