খাবারদাবারের জিনিসপত্রে ভেজাল মেশানো বা সেগুলো নকলভাবে তৈরির খবর আপনি প্রায়ই শোনেন। চিনি, ঘি, আটা, চাল, দুধ, পনির, ফল-সবজি, মসলা ও ডালের মতো প্রায় সব জিনিসেই ভেজাল মেশানোর খবর আসে।

উৎসবের মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে বাজারে নকল পণ্যের পরিমাণও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনি হোলির জন্য চিনি কিনতে যাচ্ছেন, তবে সতর্ক থাকুন। বাজারে প্লাস্টিকের চিনি বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ নকল চিনি পাওয়া যাচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর হতে পারে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নকল চিনির ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। চিনি এমন একটি উপাদান যা প্রতিটি ঘরে প্রতিদিন ব্যবহৃত হয়। চিনির সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয়। যারা মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন, তারা সকালে চায়ের সঙ্গে থেকে শুরু করে রাতের ডিনার পর্যন্ত চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন।

এভাবে চিনুন আসল চিনি

বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব সহজেই ঘরে বসেই আসল চিনি চেনা সম্ভব। এর জন্য একটি কাঁচের গ্লাসে জল নিন এবং তাতে চিনি মিশিয়ে দেখুন।

• যদি চিনি আসল হয়, তাহলে সম্পূর্ণরূপে জলতে মিশে যাবে।
• কিন্তু যদি এতে ভেজাল মেশানো থাকে, তবে তা জলর ওপরে ভেসে উঠবে।
• সাধারণত, চিনি ভারী হওয়ায় এটি জলর নিচে বসে যায়। তাই, যদি কোনো কণা জলর ওপরে থেকে যায়, তাহলে বুঝতে হবে সেটি ভেজাল মেশানো।

গন্ধ শুঁকে বুঝুন চিনি আসল নাকি নকল

গন্ধ দিয়েও চিনির বিশুদ্ধতা যাচাই করা সম্ভব। এর জন্য এক গ্লাস জলতে চিনি ভালোভাবে গুলিয়ে নিন।

• যদি কোনো অ্যামোনিয়ার গন্ধ না আসে, তবে চিনি আসল।
• কিন্তু যদি অ্যামোনিয়ার গন্ধ পাওয়া যায়, তবে বুঝতে হবে এতে ইউরিয়া বা অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হয়েছে।

নকল চিনি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর?

1. পাচনতন্ত্রের সমস্যা: নকল চিনি খেলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
2. ওজন বৃদ্ধি: বর্তমানে অতিরিক্ত ওজন অনেকের জন্য চিন্তার কারণ, নকল চিনি গ্রহণ করলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
3. হৃদরোগের ঝুঁকি: হৃদরোগীদের জন্য নকল চিনি অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি হার্টের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
4. গাট হেলথের ক্ষতি: নকল চিনির ব্যবহারে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও প্রভাবিত হতে পারে।

সুতরাং, বাজার থেকে চিনি কেনার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিন, যাতে আপনি নকল চিনির ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন।

O