কেন্দ্রীয় সরকার বার্ড ফ্লু (H5N1) নিয়ে চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধ মন্ত্রণালয় পাঞ্জাব সহ ৯টি রাজ্যে বার্ড ফ্লু সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব অলকা উপাধ্যায় বলেন, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ভারতে পৌঁছেছে।

যারা সংক্রামিত মুরগি খান তারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। আজ তকের খবর অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের জারি করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের জানুয়ারী থেকে, ৯টি রাজ্যে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন পোল্ট্রি খামারও রয়েছে।’

কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে এই ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে তাৎক্ষণিক মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সমস্ত পোল্ট্রি খামারের অবিলম্বে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা উচিত। শুধু তাই নয়, সকল সরকারি পোল্ট্রি খামারের জৈব নিরাপত্তা অডিট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত এবং ত্রুটিগুলি অবিলম্বে সংশোধন করা উচিত।

রাজ্যগুলিকে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়াও, দ্রুত প্রতিক্রিয়া দলগুলিকে সক্রিয় করতে বলা হয়েছে এবং পশুচিকিৎসা ও ল্যাবের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যে এই ব্যবস্থাগুলির প্রতি তাৎক্ষণিক মনোযোগ ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করতে সাহায্য করবে।

বার্ড ফ্লুর লক্ষণগুলি কী কী?

বার্ড ফ্লুর লক্ষণগুলি সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলির মতোই হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে চোখ লাল হওয়া, জ্বর, কাশি, ক্লান্তি, পেশী ব্যথা, গলা ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, নাক বন্ধ বা সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট।

বার্ড ফ্লু কিভাবে ছড়ায়?

খবর অনুযায়ী, বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা মূলত পাখিদের আক্রান্ত করে। কিন্তু, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এটি মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে। সংক্রামিত পাখির সাথে সরাসরি যোগাযোগ বা দূষিত পরিবেশের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। যারা সংক্রামিত পাখি পরিচালনা করেন অথবা হাঁস-মুরগির খামারের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কি কি?

শুধু তাই নয়, সঠিকভাবে রান্না না করা মুরগির মাংস খেলেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাখি স্পর্শ করার পর অথবা ভাইরাস আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করার পর সর্বদা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সংস্পর্শে আসা প্রাণীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। লক্ষণ দেখা দিলে, অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নিন। খাওয়ার আগে নিশ্চিত করুন যে মুরগি এবং ডিম সঠিকভাবে রান্না করা হয়েছে।