রাম মন্দিরের পর এবার সীতা মাতা মন্দিরের পালা, অমিত শাহ দিলেন বড় প্রতিশ্রুতি

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার আহমেদাবাদে ‘শাশ্বত মিথিলা মহোৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে ভাষণ দেন এবং বিহার ও মিথিলাঞ্চলের জনগণের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস গণতন্ত্র ও দর্শনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
একইসঙ্গে, তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে সীতা মাতার এক বিশাল মন্দির নির্মাণ করা হবে, যা সমগ্র বিশ্বকে নারী শক্তির বার্তা দেবে।
এবার সীতা মাতা মন্দিরের পালা
অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “যখন আমি লোকসভা নির্বাচনের সময় বিহার গিয়েছিলাম, তখন আমি বলেছিলাম যে রাম মন্দির তৈরি হয়ে গেছে, এখন সীতা মাতার এক বিশাল মন্দির নির্মাণের সময় এসেছে। এই মন্দির শুধু আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক হবে না, বরং এটি সমগ্র বিশ্বকে নারী শক্তির বার্তাও দেবে।”
গুজরাটের উন্নয়নে মিথিলা সমাজের অবদান
অমিত শাহ গুজরাটে বসবাসকারী মিথিলাঞ্চল ও বিহারের জনগণের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন যে তারা রাজ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, “আজ গুজরাট যে অগ্রগতি অর্জন করেছে, তাতে বিহার ও মিথিলার জনগণের বড় অবদান রয়েছে।”
মিথিলার ভূমির ঐতিহাসিক গুরুত্ব
শাহ বলেন, মিথিলা অঞ্চল এক সমৃদ্ধ ইতিহাসের অধিকারী। এটি প্রাচীন বিদেহ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল, যাকে গণতন্ত্রের জননী বলা হয়। তিনি বলেন, “মহাত্মা বুদ্ধ বহুবার বলেছেন যে যতদিন বিদেহের মানুষ একত্রিত থাকবে, ততদিন কেউ তাদের পরাজিত করতে পারবে না। মিথিলাঞ্চল সবসময়ই গণতন্ত্রের একটি শক্তিশালী কেন্দ্র ছিল এবং এটি গোটা দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে।”
মিথিলা—শাস্ত্রার্থ ও বৌদ্ধিক ঐতিহ্যের ভূমি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিথিলা শুধু সংস্কৃতি ও আস্থার কেন্দ্র নয়, এটি শাস্ত্রার্থ ও বৌদ্ধিক ঐতিহ্যের ভূমিও। রামায়ণ ও মহাভারতের যুগ থেকেই এই অঞ্চল পণ্ডিতদের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, “মিথিলার জ্ঞানচর্চার ঐতিহ্য ভারতের বৌদ্ধিক সমৃদ্ধিকে প্রসারিত করেছে।”
নারী শক্তি ও আদর্শ জীবনের প্রতীক
অমিত শাহ বলেন, “রাম মন্দির নির্মাণের পর এবার সীতা মাতা মন্দির নির্মাণ হবে। এই মন্দির বিশ্বকে নারী শক্তি ও আদর্শ জীবনের বার্তা দেবে।” তিনি আরও বলেন, “সীতা মাতার জীবন আমাদের শেখায় যে একজন নারী তার সাহস, ত্যাগ ও আদর্শের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে আলোকিত করতে পারেন।”