এই গাছগুলিকে দেখলেই কাঁপতে থাকে সাপ, বাড়িতে লাগান, আদিবাসীরা জানাল এই উপায়

আমাদের দেশে সাপদেরও পূজা করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষাক্ত প্রজাতিগুলির মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণত, মানুষ সাপ দেখলেই ভয়ে কাঁপতে থাকে। যদি কোনওভাবে সাপ ঘরে ঢুকে যায়, তাহলে অনেকে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
যদি আপনিও একই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তবে আমরা কিছু উপায় বলছি, যা সাপদের আপনার বাড়ি থেকে দূরে রাখবে। এটি আদিবাসীদের দ্বারা প্রমাণিত একটি কার্যকর পদ্ধতি। নিজের বাড়িতে ঘোড়বচ এবং ঈশ্বরমূল জাতীয় গাছ লাগানো উচিত। এই গাছগুলির কারণে সাপ দূরে থাকে।
আদিবাসীদের अनुसार কার্যকরী উপায়
ঝাড়খণ্ডের পালামু জেলার আদিবাসী চেরো সমাজের উমেশ সিং চেরো লোকাল ১৮-এর সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেন, “বাড়ির বাইরে ঘোড়বচ গাছ লাগালে সাপ কখনোই ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে না। এটি এমন একটি প্রজাতির গাছ, যার গন্ধ সাপদের দূরে রাখে। এই গাছ লাগানোর পর এটি সাপের জন্য একপ্রকার লক্ষ্মণরেখার কাজ করে।”
মহুয়ার খলির ধোঁয়ায় সাপ পালাবে
উমেশ সিং চেরো আরও বলেন, যদি সাপ ঘরে প্রবেশ করে, তবে মহুয়া থেকে তেল বের করার পর যে খলি (অবশিষ্টাংশ) থাকে, সেটি পুড়িয়ে দিতে হবে। এর ধোঁয়ার গন্ধে সাপ তৎক্ষণাৎ ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও, তিল গাছের শিকড় ব্যবহার করাও উপকারী। এই শিকড় জঙ্গলে পাওয়া যায় এবং ঘরের আশপাশে ছড়িয়ে দিলে সাপ দূরে থাকে। পাশাপাশি, মাটি তেলের (কেরোসিন) ছিটে দিলে সাপ ঘরে প্রবেশ করতে ভয় পায় এবং দূরে সরে যায়।
ঈশ্বরমূল: সাপ প্রতিরোধকারী বিশেষ গাছ
ঈশ্বরমূল এক বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ যা সাধারণত জঙ্গলে পাওয়া যায়। আদিবাসী সমাজ বহুদিন ধরেই এই উদ্ভিদকে সাপ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করে আসছে। এটি বাড়ির আশেপাশে লাগালে সাপের প্রবেশের সম্ভাবনা কমে যায়।
শুধু সাপ তাড়ানোর জন্যই নয়, এই গাছের বিশেষ ঔষধি গুণ রয়েছে। ঈশ্বরমূলের পাতার রস সাপের বিষের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিষাক্ত সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই পাতার রস পান করালে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে বিষের প্রভাব কমে যায়।
উপসংহার
যদি আপনি চান যে আপনার বাড়িতে সাপ প্রবেশ না করুক, তাহলে ঘোড়বচ, ঈশ্বরমূল, তিল গাছের শিকড় ও মহুয়ার খলি ব্যবহার করতে পারেন। এটি আদিবাসীদের পরীক্ষিত পদ্ধতি, যা বহু বছর ধরে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
O