দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গ্যাস পাইপলাইনে প্রথম আক্রমণ কুর্কে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের পিছন থেকে ঘিরে ফেলার ষড়যন্ত্র

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গ্যাস পাইপলাইনে প্রথম আক্রমণ কুর্কে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের পিছন থেকে ঘিরে ফেলার ষড়যন্ত্র

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো, রাশিয়া গ্যাস পাইপলাইন ব্যবহার করে ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে। রাশিয়ান সেনারা এই পাইপলাইন ধরে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এগিয়ে যায় এবং সুঝা এলাকায় ইউক্রেনীয় সেনাদের উপর আক্রমণ করে।

এদিকে, এই অঞ্চলে নতুন করে যে সংঘাত শুরু হয়েছে তাতে উভয় পক্ষই প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে।

এখন ইউক্রেন সুজা অঞ্চলে উপস্থিত তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাশিয়ান সীমান্তের দিকে সরিয়ে নিচ্ছে। এই কারণে, এই যুদ্ধ ভবিষ্যতে আরও গুরুতর মোড় নিতে পারে। গত আগস্টে, ইউক্রেন কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণ করে, প্রায় ১৩,০০০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখল করে এবং তখন থেকেই এই অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

গ্যাস পাইপলাইন যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু

সুজা একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পরিবহন কেন্দ্র, যার মাধ্যমে রাশিয়া ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবহন করে। ইতিমধ্যে, সুজায় দুই জাতির মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া তখন থেকে ইউক্রেনকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আসা বিশাল ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে, কিন্তু ইউক্রেন সেখানে এখনও একটি শক্তি হিসেবে রয়ে গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনও সুনির্দিষ্ট সাফল্য পাননি।

কৌশলটি কী?

রাশিয়া গ্যাস পাইপলাইন ব্যবহার করে পিছন থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের উপর আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিল।
এর জন্য, প্রায় ৫০,০০০ সৈন্যের একটি বিশাল বাহিনী অভিযানে পাঠানো হয়েছে।

জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি?

রাশিয়ান সৈন্যরা গ্যাস পাইপলাইন ব্যবহার করে আক্রমণ করার পর, সুদজা অঞ্চলে রাশিয়ান সৈন্যদের উপর রকেট এবং কামান দিয়ে প্রচণ্ড আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। এই কারণে, যুদ্ধের এই নতুন পর্যায়ে ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ

এই হামলার পর, ইউক্রেন রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে অবরোধ করেছে। ইউক্রেনীয় রকেট এবং কামানের গোলায় রুশ বাহিনী এবং তাদের যুদ্ধ সরঞ্জাম কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।

সংগ্রামের পর আর কী?

রাশিয়ার এই নতুন আক্রমণের মাধ্যমে, রুশ সেনাবাহিনী কুর্স্ক অঞ্চলে প্রায় ১০,০০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যকে ঘিরে ফেলতে সফল হয়েছে। যদি রাশিয়া কুর্স্ক অঞ্চল থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা না দেয়, তাহলে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হতে পারে অথবা ভয়াবহ আক্রমণে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *