ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আমেরিকায় ক্ষমতায় ফিরে আসার পর, একদিকে ট্রাম্প অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছেন এবং অন্যদিকে তিনি ভারতের উপর ভারী শুল্ক আরোপের ঘোষণাও দিয়েছেন।

একই সাথে, রাশিয়ান অস্ত্র কেনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে আবারও পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক ভারতকে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। হাওয়ার্ড বলেন, “ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক জোরদার করার জন্য রাশিয়ান অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফরের সময়, রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে F-35 যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যেখানে আমেরিকান নেতারা রাশিয়ান অস্ত্রের বিষয়ে ভারতের উপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছেন। এখন, একটি আমেরিকান প্রতিবেদনে রাশিয়ান অস্ত্রের উপর ভারতের নির্ভরতা প্রকাশ পেয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ভারতের সামরিক শক্তি রাশিয়ান অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল। সে তাকে ছাড়া লড়াই করতে পারবে না।

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী একটি বিবৃতি দিয়েছেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক একটি টিভি অনুষ্ঠানে বলেন, “ভারত ঐতিহাসিকভাবে বৃহৎ পরিসরে রাশিয়ান অস্ত্র কিনেছে এবং আমরা বিশ্বাস করি যে এটি বন্ধ করতে হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন যে আমেরিকা রাশিয়ান অস্ত্রের বিকল্প হিসেবে ভারতকে আমেরিকান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে প্রস্তুত। ২০০৮ সাল থেকে ভারত আমেরিকা থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র কিনেছে।

ভারত রাশিয়ান অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা

২০২১ সালে মার্কিন কংগ্রেসে জমা দেওয়া একটি সরকারি গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে, রুশ অস্ত্র ছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনী কার্যকরভাবে যুদ্ধ করতে পারবে না। সিআরএস তার প্রতিবেদনে বলেছে যে ভারত এবং বিশ্বের অনেক বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে রাশিয়ান অস্ত্রের উপর ভারতের নির্ভরতা আগামী অনেক বছর ধরে অব্যাহত থাকবে। এতে আরও বলা হয়েছে, “রাশিয়া ভারতকে এমন অস্ত্র ও প্রযুক্তি সরবরাহ করতে প্রস্তুত যা তারা বিশ্বের অন্য কোনও দেশকে সরবরাহ করে না। এছাড়াও, রাশিয়া ভারতকে খুবই সাশ্রয়ী মূল্যে সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করে।”